সন্দেশখালি কাণ্ডে আজ, মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজকের মধ্যেই শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আজই সুপ্রিম কোর্টে মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে। রাজ্যের হয়ে মামলাটি লড়ার কথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানি চেয়েছে তারা। যদিও পরে জানা যায় সুপ্রিম কোর্ট ওই আর্জিতে সাড়া দেয়নি।
এদিকে যতটুকু জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপরে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। বরং রেজিস্টার জেনারেলের কাছে মামলাটি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুতরাং দ্রুত শুনানি হচ্ছে না। সুতরাং সন্দেশখালি কাণ্ডে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। গত ৫ জানুয়ারি ইডির অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় সিট গঠনের জন্য একক বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল সেটা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এমনকী ন্যাজাট এবং বনগাঁ থানার মোট তিনটি অভিযোগের তদন্তের ভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপি কি দুর্নীতি মুক্ত দল? প্রশ্নে মেজাজ হারালেন সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অন্যদিকে শেখ শাহাজাহানকে গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তারপর শাহজাহানকে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শাহজাহানকে গ্রেফতারের দিনই ইডি জানিয়েছিল, তারা দ্রুত শাহজাহানের হেফাজত নেবে। আর ইডি শুরু থেকে দাবি জানিয়ে আসছে, তাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত যে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে যেন না করানো হয়। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনেও তাদের ভরসা করতে দেখা যায়নি। তাই এই তদন্তভার শুধু সিবিআইকেই দেওয়া হোক বলে দাবি করা হয়।
এবার কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই দিয়ে দেয়। আর তারপরই সন্দেশখালি মামলাকে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জির প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল। সিআইডি তদন্ত শুরু করেছিল। মুখ খুলতে সুরু করেন শাহজাহান। এমন আবহে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলে তদন্ত কতটা হবে সেটা নিয়ে সন্দিহান সব পক্ষই।