পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্গাপুজোর মণ্ডপ উদ্বোধনের প্রতিবাদে পথে নামলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। শনিবার মহালয়ার সকালে শিলিগুড়ির এয়ার ভিউ মোড়ে কালো পোশাক পরে প্রতিবাদে সামিল হন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাও।
বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজ্যের ৭৮৮টি দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই ফের শুরু হয় পুরনো বিতর্ক। পিতৃপক্ষে কি শুভকাজ করা যায়? শাস্ত্রজ্ঞরা মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির বিরোধিতা করে জানান, শাস্ত্র মতে পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো মণ্ডপের উদ্বোধন একেবারেই সমর্থন যোগ্য নয়। এর পরই ফের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দু ধর্মের নিয়ম কানুন মানছেন বলে সরব হয় বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই কর্মসূচির বিরোধিতা করে শংকরবাবু এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পুজোর উদ্বোধনের অছিলায় জেনে বুঝে ধর্মীয় বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন। ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা এটা মেনে নেবেন না। মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করা যায় না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে আমরা সংগঠিত করব। আজকে হিন্দু বাঙালির যে দুরবস্থা তৈরি হয়েছে তার পিছনের ইতিহাস এবার পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে টেনে নিয়ে আসব। যারা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ করে গরুর মাংস খেয়ে যারা এই ধরণের কাজ করেন তাদের বিরুদ্ধেও আমরা এবার রাস্তায় সরব প্রতিবাদে সামিল হব’।