ভোটের মুখে গুজরাতে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণায় ফের সরগরম হয়ে উঠেছে এরাজ্যে CAA লাগু করা সংক্রান্ত বিতর্ক। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে এই নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। যা ভোটের মুখে চমক বলে দাবি করছে বিরোধীরা। এই নিয়ে বিরোধী দলগুলির তীব্র সমালোচনা করলেন মতুয়া মহাসংঘের নেতা তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি এদিন বলেন, ‘বিরোধীরা যা বলার বলুক। অত্যাচারিত মানুষ নাগরিকত্ব পাবেই।’
শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘যদি কেউ বলে যে ভোটের আগে চমক, তাহলে তো অস্বীকার করার কিছু নেই। কারণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বারবার একটা কথাই বলেছেন, কোভিড ফ্যাক্টর ও সুপ্রিম কোর্ট ফ্যাক্টর। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে সেটা তো মানুষের সামনে বারবার বলা যায় না। কিন্তু যুক্তগ্রাহ্যভাবে যেটা বৈধ, সেটাকে তো মানুষ অস্বীকার করতে পারে না। এই যে আইন তা ভারতের সংবিধান বা সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী নয়। যারা অত্যাচারিত, তাঁরা ভারতে জায়গা পাবে। বিরোধী দলগুলি জিনিসটাকে অন্যভাবে দেখছে। তারা রাজনৈতিক দৃষ্টিতে দেখলে আমার কিছু বলার নেই। ভারত সরকার যখন CAA বিল পাশ করিয়েছিল তখন তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে এই আইন বলবৎ হবে’।
পঞ্চায়েতে সংরক্ষণের তালিকায় কারচুপি করার চেষ্টা করছে তাঁবেদার কমিশন: শুভেন্দু
মঙ্গলবার গুজরাতের আনন্দ ও মেহসানা জেলায় পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। নাগরিকত্ব পেতে গেলে মানতে হবে না ৫ বছর নিরবচ্ছিন্ন ভারতের মাটিতে থাকার শর্তও। বিরোধীদের দাবি, ভোটের মুখে চমকের রাজনীতি করছে বিজেপি।