ভয়াবহ ঘটনা নরেন্দ্রপুরে। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলল কঙ্কাল। সম্ভবত এটি কোনও মহিলার কঙ্কাল। এর সঙ্গে মহিলার পোশাকও পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে এখানে সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে কঙ্কাল এল কীভাবে?
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার জগদীশপুরে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের কাজ চলছিল। তখনই সেই ট্যাঙ্কের মধ্যে কঙ্কালটি পাওয়া যায়। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। গোটা ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বাস্তবে এটি কার কঙ্কাল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তবে কি খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল? আর এখন সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে বেরিয়ে এল কঙ্কাল?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কঙ্কালটি পাওয়া গিয়েছে সেখানে আগে অন্য লোকজন থাকতেন। বর্তমানে সেখানে অন্য একজন বাড়ি কিনেছেন। এদিকে আগে এখানে যারা থাকত তাদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। বর্তমানে সঞ্জিত সরকার নামে এক ব্যক্তি ওখানে পরিবার নিয়ে থাকেন। তবে এর আগে যারা থাকতেন তাদের দিকেই সন্দেহের আঙুল উঠেছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি আগে যে পরিবার ওই বাড়িতে থাকত সেই পরিবারের সঙ্গে এক মহিলাও থাকতেন। কিন্তু আচমকাই তিনি উধাও হয়ে যান। তবে তার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে অবশ্য ওই পরিবারের কোনও হেলদোল ছিল না। এনিয়ে পাড়াতে সেই সময় ঝামেলাও হয়েছিল। পরিবারের লোকজনকে মারধরও করেছিল পাড়ার লোকজন। এরপর এলাকায় কিছুটা অশান্তি ছড়ায়। পরে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায় ওই পরিবার। সেই বাড়িতেই বর্তমানে সঞ্জিত সরকার নামে এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে থাকেন। কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্ক খুলতেই এদিন বিপত্তি।
অনেকদিন ধরে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা হয়নি। সেকারণেই এদিন ট্যাঙ্কটি পরিষ্কার করার জন্য আসে লোকজন। ট্যাঙ্কের ঢাকনা খোলার পরেই প্রথমে কিছু জামাকাপড় পাওয়া যায়। এরপর একটি শরীরের একাংশ দেখা যায়। তারপর কঙ্কালের একটি হাত দেখা যায়। এরপর ধীরে ধীরে গোটা শরীরটাই বোঝা যায়। সেটি সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে এল কীভাবে?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে মহিলা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তার কঙ্কালই এখানে রয়েছে। তাকে হয়তো খুন করে সেই সময় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ ইতিমধ্য়েই আগে যে পরিবারে এখানে থাকত তারা বর্তমানে কোথায় থাকে তার খোঁজ করছে।