যে ছেলেটাকে নিজে হাতে মেখে ভাত খাইয়েছে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল মানতে পারেননি পিসি। বহরমপুরে সুতপা চৌধুরী খুনে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী সুশান্তর কোনও আত্মীয়ই আদালতের রায় মেনে নিতে নারাজ। ইংরেজবাজারে সুতপাদের বাড়ির উলটো দিকে পিসির শান্তিরানি চৌধুরীর বাড়িতেই বড় হয়েছে সুশান্ত। সাজা ঘোষণার পরদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল বাড়ি আর বাসযোগ্য নেই। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কেউ বা কারা।
সুশান্তর বাড়ি মালদার মহিষবাথানির খনিবাথানি এলাকায়। কিন্তু ছোট থেকেই ইংরেজবাজারে এয়ারভিউ কমপ্লেক্সে পিসির বাড়িতেই বড় হয়েছে সে। পিসি নিজে হাতে ভাত মেখে খাইয়ে দিতেন সুশান্তকে। সেই ছেলের খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে শুনে মূর্ছা যান শান্তিরানি দেবী। জ্ঞান ফেরার পর থেকে অবিরত বলেই চলেছেন, ‘কেন করলি বাবা? দেশে কি আর মেয়ে ছিল না?’
শুক্রবার সকালে ইংরেজবাজারে সুতপাদের পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সুশান্তর পিসির বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনিতেই বিবর্ণ বাড়িটির দরজা জানলা ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কেউ। সারা বাড়ির দেওয়ালে কাদা ও নোংরা ছোড়া হয়েছে। কে করল এই কাজ? মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয়রা। তবে চোখ মুখের ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছে, এখনো ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা।