চকোলেট – স্যান্ডুইচ খেয়ে অনশন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বুধবার নন্দীগ্রামের গোকুল নগরে ‘শহিদ স্মরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিচালনার পর রাজনৈতিক নেতাদের ঢোকার ব্যবস্থা করেছিলেন লালকৃষ্ণ আদবাণী।
গত বছর শুভেন্দুবাবু তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই নন্দীগ্রামের কৃতিত্ব নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকালে তৃণমূলের ‘শহিদ স্মরণ’ অনুষ্ঠানের পর বিকেলে একই জায়গায় সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘খুব বড় বড় কথা। বলে, আমাদের মালিক না থাকলে নন্দীগ্রাম হতো না। কিন্তু আমি বলি লালকৃষ্ণ আদবানি না এলে নন্দীগ্রামে কেউ ঢুকতে পারতেন না। ১৪ মার্চ পিছন থেকে গুলি করে খুন করল। কাউকে ঢুকতে দেয়নি। আমি নিজে ১৫ মার্চ সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর দিয়ে বিকাল সাড়ে তিনটের সময় নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলাম। আর সবাই ঢুকতে পারল ১৭ই মার্চ। সঙ্গে তৎকালীন লোকসভার বিরোধী দলনেতা লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, আজকের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া আরও অনেকে।’
মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘যখন চকোলেট আর স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশনের নামে নাটক করেছিলেন তখন, সরবত খাওয়াতে এসেছিলেন রাজনাথ সিং। নন্দীগ্রামের রাস্তাগুলো পরিষ্কার করেছে কে? তিনি হলেন লালকৃষ্ণ আডবানি। সেদিন হেঁড়িয়া দিয়ে অবরোধ তুলতে তুলতে ভাঙাবেড়া দিয়ে সোনাচূড়া বাজারে পৌঁছেছিল। আর সেদিন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যে তিন জন ছিলেন, একজন আমার পিতৃদেব, আমি এবং দীনেশ ত্রিবেদী। ’
এদিন শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে সকালের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা তৃণমূল নেতাদের ‘পিসি - ভাইপোর চাকর’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।