প্রেমিকের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঘুরতে দেখে ফেলেছিলেন বাবা। আতঙ্কে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন কিশোরী। মৃতের নাম নম্রতা দাস (১৬)। বাড়ি চন্দননগরের পালপাড়ায়।
শনিবার সন্ধ্যায় চন্দননগরের হাসপাতাল মোড়ের কাছে একটি বাড়ির নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নম্রতাকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বান্ধবীর জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোয় চন্দননগরের পালপাড়ার বাসিন্দা কিশোরী। এর পর সে সোজা পৌঁছে যায় প্রেমিকের বাড়ি। সেখানে প্রেমিকের জন্মদিন পালন করে সে। দুপুরের খাওয়াদাওয়াও করে।
বিকেলে এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে বেরোয় নম্রতা। পথে দেখা হয়ে যায় বাবার সঙ্গে। বাবা ধমক দিয়ে মেয়েকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে বলেন। প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে দেখে ফেলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জানায়, এখুনি বাড়ি ফিরতে হবে তাকে। এই বলে প্রেমিকের মোটরসাইকেল থেকে নেমে টোটোয় চড়ে কিশোরী।
কিন্তু বাড়ি ফেরেনি নম্রতা। শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল মোড়ে বান্ধবীর বাড়িতে পৌঁছয় সে। সিঁড়ি বেয়ে সোজা ছাদে উঠে গিয়ে ঝাঁপ দেয়। সজোরে পড়ে মাটিতে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। রবিবার তাঁর দেহ ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে।