একাধিক দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে দু’বার কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে জেরা করেছে রাজ্য পুলিশ৷ আগামীকাল, শুক্রবার আবার সৌমেন্দুকে তলব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু–সৌমেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ এদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ সেই মঞ্চ থেকেই অধিকারী পরিবারের দুই সন্তানের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তার পরিবারকে সরাসরি আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুর গর্বের জায়গা। শুভেন্দু অধিকারী এবং অধিকারী পরিবার গাদ্দারি করেছে। ও একটা কুলাঙ্গার, বেইমান। শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই একবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পেরেছিলেন! সেই শুভেন্দু নারদা কাণ্ডে টাকা নিয়েছে৷ সবাই টিভিতে দেখেছে৷ ওর ভাই সৌমেন্দু আর একটা চোর৷ পুরসভা থেকে সারদার ফাইল সরিয়েছে৷ ওদের দু’ভাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত৷ আমি বলব, সিবিআইয়ের উচিত শুভেন্দু অধিকারীর কলার ধরে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া।’
কর্মীদের কী বার্তা দিয়েছেন কুণাল? বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি কর্মীদের বার্তা দেন, ‘এই জেলায় বিজেপি কোথায়? তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কমেনি। সিপিআইএমের ভোটগুলি বিজেপিতে গিয়েছে! বরং তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে! পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও গণ্ডগোল নয়৷ বিজেপি এবং সিপিআইএমের সমর্থকের বাড়িতে একাধিকবার গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করুন৷’
উল্লেখ্য, এদিন ভগবানপুরে ভীমশ্বরী হাইস্কুলে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। পাঁচশোর বেশি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা বিজয়া সম্মেলনীতে উপস্থিত হন। উপস্থিত হন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি, চণ্ডীপুরে বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা কাঁথি পুরসভা উপপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি–সহ অন্যান্যরা।