ফের মাওবাদী পোস্টার। ফের বীরভূমের পাঁড়ুই। শনিবার লাল কালিতে তৃণমূল নেতাদের নাম লেখা ওই পোস্টার উদ্ধার হয়েছে পাঁড়ুইয়ের বাতিকার গ্রামে। পাঁড়ুই থানার পুলিশ এসে পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দিয়েছে। এদিনের পোস্টারে ‘জনগণের টাকা ফেরত দাও’— এই দাবি তোলা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার পাড়ুই থানা এলাকায় স্থানীয় ১৩ জন তৃণমূল নেতার নাম লেখা মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার হয়। সে বার তৃণমূলের দুটি দলীয় কার্যালয় ও একটি বাসস্ট্যান্ড থেকে পাওয়া যায় পোস্টারগুলি।
এর কিছুদিন আগে সিপিআই (মাওবাদী)–র প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন বাঁকুড়ার সেরেঙ্গায় পাওয়া যায় হাতে লেখা চারটি মাওবাদী পোস্টার। অগস্টে স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিন ঝাড়গ্রামের ভুলাভেদা এলাকা থেকে প্রায় এক ডজন মাওবাদী পোস্টার উদ্ধার করে পুলিশ। ওই পোস্টারে স্থানীয় বাসিন্দাদের এই স্বাধীনতা দিবসকে কালা দিবস হিসেবে পালন করতে বার্তা দেওয়া হয়। এর পর ৪ সেপ্টেম্বর ফের ঝাড়গ্রামেরই বেলপাহাড়ি থেকে কিছু হাতে–লেখা মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যায়।
সেরেঙ্গা থানার ওসি সূর্যশঙ্কর মণ্ডল ‘হিন্দুস্তান টাইম্স’–কে জানিয়েছেন, সোমবার যে ওই পোস্টারগুলি মাওবাদীরাই লাগিয়েছেন তার কোনও প্রমাণ সেভাবে নেই। কারণ, মাওবাদীদের অস্তিত্বই তো এখন নেই। ২০১১ সালে বার তার পরে রাজ্যের প্রত্যেক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। সরকার তাঁদের পুনর্বাসিত করেছে। তাঁদের বেশিরভাগই সরকারি চাকরি পেয়েছেন। বাকিরা অপেক্ষা করছেন অন্য সুযোগের জন্য।
গত মাসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এক দশক আগে তৈরি হওয়া কাউন্টার ইনসারজেন্সি ফোর্স (সিআইএফ) পুনরায় সক্রিয় করার জন্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ৭ সেপ্টেম্বর রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিদর্শন করেন এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে যান।