যে আবাসনে থাকেন খোদ সিপিএমের কাউন্সিলর, সেই আবাসনেই ধরা পড়ল মধুচক্র! তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষকে আপত্তিকর অবস্থায় বমাল পাকড়াও করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। কাউন্সিলরের নাকের ডগায় ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে জোরকদমে চলছিল মধুচক্রের আসর। সেটি জানতে পেরেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেন সিপিএম কাউন্সিলর। আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে পর্দাফাঁস করলেন মধুচক্রের। আর তা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল, হুগলির উত্তরপাড়া।
এদিকে উত্তরপাড়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আর কে স্ট্রিটের একটি আবাসনে মধুচক্র চলছিল বলে অভিযোগ। গত একমাস ধরে মিঠু ভৌমিক নামে এক মহিলা আবাসনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ওই মহিলা ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই ফ্ল্যাটে বাইরে থেকে যুবক–যুবতীদের আনাগোনা শুরু হয়। যা সন্দেহজনক বলে চোখে পড়ে এলাকার বাসিন্দাদের। ওই আবাসনেই অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকেন এলাকার সিপিএম কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার। তারই উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার এলাকার ও ফ্ল্যাটের বসবাসকারী অন্যান্য বাসিন্দাদের নিয়ে মধুচক্র চলা ফ্ল্যাটটির দরজায় তালা দিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার যখন ওই ফ্ল্যাটটি ঘিরে ফেলা হয় চারদিক থেকে তখনও ভিতরে মধুচক্র চলছিল। আজ বাইরে থেকে ফ্ল্যাটে দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় উত্তরপাড়ায় থানায়। পুলিশ এসে তিনজন মহিলা ও একজন পুরুষকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। এখানে আসা মহিলাদের আচরণ দেখে আবাসিকদের মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। তাঁরা অনুমান করেন, ওই ফ্ল্যাটের ভিতরে কোনও বেআইনি কারবার চালাচ্ছেন নতুন ভাড়াটে। সন্দেহটা যে এভাবে মিলে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাটে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় মুখোমুখি বসছেন মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপাল, কোন অঙ্কে একমঞ্চে যুযুধান?
ঠিক কী বলছেন কাউন্সিলর? বাইরে থেকে তালা লাগানো ফ্ল্যাটে এসে পুলিশ তালা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ওই অবস্থাতেই তিনজন মহিলা এবং একজন পুরুষকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে কাউন্সিলর সুস্মিতা সরকার বলেন, ‘আমি একজন কাউন্সিলর। আমার ফ্ল্যাটে যত না লোক আসে ওই ফ্ল্যাটে তার থেকে বেশি লোকজন আসত। ঘটনাটি কিছুদিন ধরেই নজরে পড়ছিল। আজ এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে মধুচক্র চলাকালীন তাদের ধরা হয়। উত্তরপাড়ার মতো ঐতিহ্যপূর্ণ শহরে বিগত কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার মধুচক্রের আসর ধরা পড়েছে। এই ধরনের ঘটনায় সমাজে প্রভাব পরে। পুলিশের দেখা উচিত।’