বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া একলাফে প্রায় দ্বিগুণ করল রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটিকে ‘এক্সপ্রেস’ তকমা দেওয়া হয়েছে। এর জেরে এই ভাড়া বৃদ্ধি। যদিও আগের মতো সব স্টেশনেই দাঁড়াচ্ছে ট্রেনটি। কিন্তু ভাড়া নেওয়া হচ্ছে এক্সপ্রেস ট্রেনের। এতে বেজায় চটেছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, রামপুরহাট থেকে হাওড়া জেনারেল কামরায় আগে সর্বোচ্চ ভাড়া ছিব ৪৫ টাকা। সেই ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করা হয়েছে। রিজার্ভেশনের ক্ষেত্রে তা ১০০ টাকা। এদিকে ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা হয়েছে।
রামপুরহাট-হাওড়া বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রামপুরহাট থেকে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যায়। বর্ধমানে সকাল ৮টা ও হাওড়া পৌঁছয় ১০টা নাগাদ। ফের বিকেলে ট্রেনটি ৪টে ৩৫ মিনিটে হাওড়া ছেড়ে বর্ধমান হয়ে রাতে রামপুরহাট পৌঁছায়। এই ট্রেনের উপর অনেক নিত্যযাত্রী নির্ভর করে থাকেন। এই আবহে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে সরব যাত্রীরা।
এদিকে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। এই আবহে কংগ্রেসের অভিযোগ জানান, শুধু বিশ্বভারতী প্যাসেঞ্জার ট্রেন নয়, কিছু লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও স্পেশাল নাম দিয়ে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে একই সুরে তৃণমূলেরও দাবি, স্পেশাল ট্রেনের নাম দিলেও পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি। এই আবহে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে হাওড়া ডিআরএমের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন রেলবোর্ড থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিশ্বভারতীর ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া পরিবর্তন করা হবে না।