হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক আরোহীদের আটক করে পুলিশের এসআই এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ার। আর তার জেরে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলায় আক্রান্ত হলেন পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। এসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের উপর এই হামলার ভিডিয়ো এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সোমবার বেশি রাতে সোদপুরের এইচবি টাউন মোড়ে এই ঘটনাকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন ওই পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঠিক কী ঘটেছে সোদপুরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বেশি রাতে সোদপুরে চলছিল নাকা চেকিং। তখন হেলমেট ছাড়া দুই মোটরবাইক আরোহীকে আটকানো হয়। এই দেখে মোটরবাইকে থাকা যুবতী আরোহী পুলিশের উপর চড়াও হন। তাঁর ইন্ধনেই বাকিরা ঘোলা থানার এসআই এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে। তাতে বেশ চোট পেয়েছেন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। প্রথমে যুবতী পুলিশকে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। তারপরই সঙ্গে থাকা যুবক রণংদেহি মেজাজে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত মোটরবাইক চালক অভিজিৎ সাহাকে। তাঁর বাড়ি সোদপুরের নাটাগড়ে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? খাকি উর্দির কলার ধরে ওই যুবক এবং সঙ্গে থাকা যুবতী সমানে চড় মারতে থাকেন। তারপর ওই যুবতী পুলিশের মাথায় কিলও মারেন বলে অভিযোগ। এই দু’জনের মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই আটকানো হয়েছিল। আর তাঁদের কেস দিতেই শুরু হয় বেদম মারধর। ঘোলা থানার সাব ইন্সপেক্টর শোভন মাইতিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে রাস্তায় পড়ে যান এই পুলিশকর্মী। আর তাঁকে বাঁচাতে এলে সিভিক ভলান্টিয়ারকেও প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এই ঘটনায় দু’জনকে স্থানীয়রা পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে বেদম মার, জেলা বিজেপির সভাপতিকেই উত্তম–মধ্যম কর্মীদের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই মারধর শুধুমাত্র দু’জন করেনি। চিৎকার শুনে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এলে এই যুবক–যুবতী তাঁদের ভুল তথ্য দেয়। তাতে উত্তেজিত হযে ওঠে জনতা। আর তাঁরাও তখন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় সোদপুর এইচবি টাউন মোড় এলাকায়। তাই বিষয়টি শুনে পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি পুরো ঘটনা জানি না। তবে আমার মনে হয় পুলিশ প্রশাসনের গায়ে যদি কেউ হাত দেয় তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুলিশের গায়ে হাত তোলা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’