কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুল। সেই স্কুল থেকে উদ্ধার হয়েছে দশম শ্রেণির পড়ুয়া শেখ শানের দেহ। কসবার রথতলার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলের এই ঘটনা ফের আয়নার সামনে দাঁড় করাল গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হল? সে কি ঝাঁপ দিল? কীসের এত চাপ ছিল তার? সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী আছে সেই ফুটেজে?
পরিবারের দাবি, সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রকে শেষবারের জন্য় দেখা গিয়েছিল ৬তলার করিডরে। তার কিছুক্ষণের মধ্য়েই তার দেহ মিলেছে। স্কুলের একটি শেডের পাশে পড়েছিল দেহটি। এখানেই প্রশ্ন মাঝের এই সময়টাতে ঠিক কী হল?
শেখ শানের এক সহপাঠীর বাবার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমার ছেলে স্কুল থেকে এসে কাঁপছিল। বলছিল কীসের একটা শব্দ পাওয়া গেল। কিন্তু মিসেরা বললেন সবাই চুপ করে বোস। শুধু চাপ নয়, ওই স্কুল টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। পুলিশের সঙ্গে স্কুলের সেটিং আছে। তাছাড়া অন্য ছাত্ররা তো বলছে ওই ছাত্রটিতে ঘণ্টা দুয়েক আগেই বলা হয়েছিল টিসি দিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য় সংবাদ মাধ্যমকে ফোনে জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা আগে কোনওদিন হয়নি। এই স্কুল ছাত্র বান্ধব।
তবে মৃতের পরিবার অবশ্য আত্মহত্যার কথা মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, ছেলেকে স্কুলের শিক্ষকরা মারধর করেছিলেন। এদিকে গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুটছেন অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হোক। এত সহজে বিষয়টা মানা হবে না। সেই সঙ্গে বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন কেন কাছের হাসপাতাল বাদ দিয়ে তাকে দূরের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?
এদিকে ছাত্রের প্রতিবেশীদের দাবি, ছেলেটি আপাত শান্ত ছিল। বাবার সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক ছিল তার। তার মা সাময়িকভাবে এখানে থাকতেন না। তবে স্কুলে যেত আর বাড়ি ফিরে আসত। সেই ছেলের এমন পরিণতি মানতে পারছেন না কেউই।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা করা হচ্ছে কোনও কারণে অত্যন্ত চাপে ছিল ওই ছাত্র। প্রজেক্ট জমা দিতে না পারার কারণেই কি চাপে ছিল ছাত্র? এনিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্রের পরিবারের লোকজন। কিন্তু কেন এভাবে তরতাজা ছাত্রকে এভাবে হারিয়ে যেতে হবে এভাবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।