সংশোধনাগারের ভেতরে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে চোর চোর বলে চিৎকার করেছেন সহবন্দিরা। আর এসএসকেএম চত্বরে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে দেখে গরু চোর বলে টিপ্পনি কাটলেন রোগীর আত্মীয়। দ্রুত হাসপাতাল ছাড়েন অনুব্রত। প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করেছে অনুব্রতকে।
সোমবার এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। চিকিৎসকদের সাত সদস্যের টিম অনুব্রত শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তারপর তাঁরা জানিয়ে দেন হাসপাতালে ভর্তির দরকার নেই। দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে কাটিয়ে এরপর তিনি বেরিয়ে যান। তাঁকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের ভিড়। কেষ্ট মণ্ডলকে ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনি। তিনি একবার চারদিক তাকিয়ে নেন। এরপর সটান গাড়িতে।
কিন্তু ততক্ষণে এসএসকেএম চত্বরে চিৎকার ভেসে আসে। চোর চোর, গরু চোর। এর রোগীর আত্মীয় রীতিমতো বিদ্রুপ করে গরু চোর বলে চিৎকার শুরু করে দেন। পরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে হাড়োয়ার বাসিন্দা বাপ্পা নামে ওই যুবক জানিয়ে দেন, সবাই বলছে চোর চোর, আমিও বলেছি। গরু পাচার মামলাতেই তাকে সিবিআই ডেকেছে। তিনি পাবলিকের টাকায় এসব করেন। তাকেও এবার বুঝতে হবে।
কথিত আছে, বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের অনুমতি ছাড়া নাকি গাছের পাতাও নড়ে না। এতটাই দাপট তাঁর। সেই অনুব্রতকে দেখে গরু চোর বলে বিদ্রুপ করার ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত সম্প্রতি জোকা ইএসআই হাসপাতালের বাইরে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখেও এক মহিলা জুতো ছুঁড়ে মারেন। এনিয়ে শোরগোল কম হয়নি। সংশোধনাগারে গিয়েও তাঁকে শুনতে হয়েছে চোর চোর ডাক। এবার এসএসকেএম চত্বরে গরু চোর ডাক ভেসে এল অনুব্রতকে নিশানা করে।