বেহালায় গুলি চলার নেপথ্যে কি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল? অন্তত এমনই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্রের খবর, শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দলের দাবি করা হলেও গুলি চলার ঘটনায় অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
রবিবার দুপুর নাগাদ মুচিপাড়ায় গুলি চলে। কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। তবে গুলিতে কেউ আহত হননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেহালা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি কার্তুজের খোল। একাংশের আবার দাবি, পুলিশের সামনেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে থাকে। কয়েকজন দোকানদারকেও মারধর করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।
সেই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষত শনিবার রাতেও মুচিপাড়ায় গুলি চলেছিল। স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ দাসের বাড়িতে ধাক্কা দেয়। চালানো হয় গুলিও। এলাকায় সুরজিৎতৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত বলে দাবি একাংশের। গুলি চালানোর ঘটনায় ভাস্কর সেন, প্রলয়, আনন্দ, বুবাই চক্রবর্তী, লাল্টু ঘোষ-সহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই গুলি চলেছে। তাঁদের বক্তব্য, পুরসভা ভোটের টিকিট বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। তার রেশ ধরেই শনিবার রাত এবং রবিবার সকালে গুলি চলেছে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই গুলি চলেছে। এখনই অবশ্য কোনও তত্ত্বে সিলমোহর দেয়নি পুলিশ। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।