তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কলকাতায় শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। মঙ্গলবার ধর্মতলায় ডরিনা ক্রসিংয়ে শহিদ স্মরণ মঞ্চে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির ছোট – বড় সমস্ত নেতা। এদিন গঙ্গার ঘাটে নিহত বিজেপি কর্মীদের স্মৃতিতে তর্পণ করেন, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। সঙ্গে অত্যাচারী সরকারকে উৎপাটনের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন ধর্মতলায় বিজেপির শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে একে একে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। ভোট পরবর্তী হিংসাকে হাতিয়ার করে শাসকদলের প্রতি আক্রমণ শানান তাঁরা। সঙ্গে বিজেপি নেতারা ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিক হিংসায় নিহত ৫৭ জন কর্মীর তালিকা প্রকাশ করেন। এদিনের সভামঞ্চে হাজির ছিলে তাঁদের পরিবারের অনেকে।
ডরিনা ক্রসিংয়ের পাশাপাশি বাবুঘাটে তর্পণের আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেখানে একে একে নিহত কর্মীদের স্মৃতিতে তর্পণ করেন বিজেপি নেতারা। নিহত কর্মীদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তাঁরা।
এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, NIA দিয়ে একে একে ভগবানপুর, নন্দীগ্রাম, হাওড়া, রিষড়া, ডালখোলা ঠান্ডা করেছি। আগামী দিনে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ঠান্ডা করব। অত্যাচারী এই সরকারের পতন হবেই।
দলের সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক আগে পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তার পর পুলিশের কাছে গিয়েছে। আর একই ধর্মের লোক হওয়ায় পঞ্চায়েত প্রধান যুবককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। এদিনের সভায় হাজির ছিলেন রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।
২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়, তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে তৃণমূল। যদিও নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।