আসানসোলের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তারই পরিচিত এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর নাম নরেন্দ্র খাড়কা। তিনি সিটের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তদন্তকারীরা দাবি করে আসছেন এই খুনের ঘটনার সঙ্গে ভিন রাজ্যের যোগ রয়েছে। অথচ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সিট যাকে গ্রেফতার করেছে তার পুরনো কোনও রেকর্ড নেই। সিট তার সংস্থার তিন কর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য, নরেন্দ্রর বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তার আরও অভিযোগ, রাজুর পুরনো সহযোগী হওয়ার কারণে তার সংস্থার কর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এই ঘটনায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
রাজুকে খুনের ঘটনায় ধৃত যুবকের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তাকে পানাগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজু খুনের ১৯ দিনের মাথায় অভিজিৎকেই প্রথম গ্রেফতার করে সিট। ধৃত অভিজিৎ নারায়ণ ওরফে নরেন্দ্র খাড়কার গাড়িচালক। এই খুনের ঘটনায় নরেন্দ্রর আরও দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশ। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। অভিজিৎকে নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় নেপাল যোগের তথ্য জানতে পারছে সিট। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই তদন্তকারীরা দাবি করে আসছিলেন ঝাড়খণ্ড, বিহারের যোগ রয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। এমনকী উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টাররা জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলেন তদন্তকারীরা। শেষমেষ পানাগড় থেকেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ধরে দুর্গাপুরে আত্মগোপন করেছিলেন অভিযুক্ত। এরপর দুর্গাপুর থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দেন।
এই ঘটনায় এক মাস্টার মাইন্ডের নম্বর হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও তার হদিস এখনও পাননি তদন্তকারীরা। তা জানার জন্য অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে যাদেরকে আটক করা হচ্ছে তারা প্রত্যেকেই নরেন্দ্রর সংস্থায় কর্মরত। নরেন্দ্রর অফিস সিল করেছেন তদন্তকারীরা। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup