বর্তমান সমাজে শুধু পুরুষদের নয়, মহিলাদেরও হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা বেড়ে চলেছে। হৃদযন্ত্রের যে কোনও সমস্যার অন্যতম কারণ হলো কোলেস্টেরল। তবে আপনার শরীরে কোলেস্টেরল আছে কিনা, তা হঠাৎ করে বোঝা যায় না। কিছু উপসর্গ রয়েছে যা নিরীক্ষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে রয়েছে উচ্চ কোলেস্টেরল।
বুকে ব্যথা: আপনার যদি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে, তাহলে প্রায়শই আপনার বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এই সমস্যাকে বলা হয় এনজাইনা। উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীতে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে আপনার হৃদপিন্ডে রক্ত প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়।
শ্বাসকষ্ট: হাই কোলেস্টেরল থাকলে ধমনীগুলি সংকীর্ণ হয়ে যায় এবং হৃদপিন্ডে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। হৃদপিন্ডে রক্তের প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে আপনার শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই শ্বাসকষ্ট হলে কোনও ভাবে তা ফেলে রাখবেন না।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ: উচ্চ কোলেস্ট্রল শুধুমাত্র হৃদপিণ্ড নয়, অন্যান্য ধমনীকেও প্রভাবিত করে যার ফলে শারীরিক কার্যকলাপ করার সময় পায়ে ব্যথা বা ক্রাম্পিং-এর মত লক্ষণ দেখা যায়।
চোখের চারপাশে হলুদ হয়ে যাওয়া: উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে অনেক সময় চোখের চারপাশে হলুদ হয়ে যায়। একে বলা হয় জ্যান্থেলাজমা। এমন উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
ক্লান্তি: সংকীর্ণ ধমনীর কারণে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে ক্লান্তি অথবা দূর্বলতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। সামান্য কাজ করার পরেই যদি ক্লান্তি অনুভূত হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার রয়েছে হাই কোলেস্টেরল।
উচ্চ রক্তচাপ: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে উচ্চ রক্তচাপের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ যদি থাকে তাহলে মাঝেমধ্যে কোলেস্টেরল চেক করে নিতে হবে।
মেনোপজের লক্ষণ: মেনোপজের সময় হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন কোলেস্টেরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। মহিলাদের মধ্যে এই রকম সমস্যা অনেক দেখা যায়। আপনারও যদি এমন কোনও সমস্যা থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার রয়েছে হাই কোলেস্টেরল।
ত্বকের পরিবর্তন: যাদের মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় যেমন কনুই, হাঁটু, হাত এবং পায়ে হালকা হলুদ ছোপ দেখা যায়। একে বলা হয় জ্যান্থমাস।
প্রসঙ্গত, উপরোক্ত লক্ষণ গুলির মধ্যে কোনওটি যদি আপনার মধ্যে দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শমত প্রতিদিন ডায়েট,ব্যায়াম করার পাশাপাশি ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।