এক মহিলা তাঁর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেছিলেন। ২০১০ সালের মার্চ মাসে তিনি এই মামলা করেছিলেন। তবে কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ করে দিল। খবর বার অ্য়ান্ড বেঞ্চ সূত্রে। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি শম্পা দত্ত( পাল)-এর পর্যবেক্ষণ বিয়ের ১৯ বছর বাদে এই অভিযোগ। তারপরই মামলা খারিজ করা হয়েছে।
তিনি তাঁর নির্দেশে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই লিখিত অভিযোগে যেটা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা খুব সাধারণ। বিয়ের ১৯ বছর বাদে এই অভিযোগ। রেকর্ডের সমর্থনে কোনও উপকরণও নেই। এই ধরনের মামলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অর্থ হল আইনের ধারাকে বিপর্যস্ত করা। সেকারণে এই মামলাকে খারিজ করা হল।
উত্তর ২৪ পরগনার দমদম থানাতে এনিয়ে একটি এফআইআর করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে তাদের বিয়ে হয়েছিল। তবে স্ত্রীর অভিযোগ পণ চেয়ে তার উপর অত্যাচার করা হত। এমনকী সন্তান প্রসব করতে না পারায় তাকে বলা হয়েছিল হয় ডিভোর্স দাও বা আত্মহত্য়া করো। কারণ তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইছিলেন।
এদিকে ২০১৯ সালে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল বিয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে বিশেষ কাটাননি। বেশিরভাগ সময়ই তারা আলাদা ভাবে কাটাতেন। এর জেরে এটা একেবারেই প্রমাণিত হচ্ছিল না যে স্বামী তাকে বেধড়ক মারধর করতেন।
বিচারপতি জানান, বিয়ের ১৯ বছর পরে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু স্বামীর বিরুদ্ধে অত্য়াচারের অভিযোগের সমর্থনে নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ হাজির করা হয়নি। এরপরই মামলা খারিজ করা হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে।