পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের নতুন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব নিলেন মনোজ শশীধর। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্রের খবর, গুজরাট ক্যাডারের এই আইপিএস অফিসার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ আস্থাভাজন। এখন মনোজ শশীধর–সহ সিবিআই দফতরের স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরের নেতৃত্বে নিজাম প্যালেসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে এই দুই সিবিআই কর্তার উপস্থিতিতে নতুন করে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। আর সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা, গরু থেকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হচ্ছে। তাই এইসব মামলার সঙ্গে জড়িত তদন্তকারীদের নিয়ে বৈঠক করেন শীর্ষ কর্তারা। তদন্তে অগ্রগতি এবং পর্যালোচনা করতে এই বৈঠক। খতিয়ে দেখা হচ্ছে কেস ডায়েরি। এবার বড় চাঁইদের ধরতে অভিযানে নামতে চলেছে সিবিআই। আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই সিবিআই বড় ধরনের কোনও তল্লাশি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত নানা পর্যবেক্ষণ করেছে। এবার সেগুলিও দেখা হচ্ছে। খামতি রাখতে চাইছেন না এই দুই শীর্ষ কর্তা। কয়লা পাচার মামলায় ২০২২ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এবার সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে বসলেন সিবিআই কর্তারা। আবার ইডি শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করেছে এবং বেরিয়ে এসেছে সায়নী ঘোষের নাম। তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আজ তিনি আর দ্বিতীয় দফার তলবে যাননি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের নালিশ, কলকাতা হাইকোর্টে আবার গেলেন শুভেন্দু
তাহলে কি বড় কিছু ঘটতে চলেছে? দীর্ঘদিন ধরে নানা তদন্ত চললেও কোনও কাজের কাজ হয়নি। স্রেফ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু যুৎসই প্রমাণ এখনও মেলেনি। যেটুকু পাওয়া গিয়েছে তাতে যে কোনওদিন ছাড়া পেয়ে যেতে পারেন তাঁরা। তাই যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তাই সিবিআইয়ের কলকাতা জোনের নতুন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হল মনোজ শশীধরকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি—সবই দেখবেন তিনি। রাজ্যের দুয়ারে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচন তখনই সিবিআইয়ের তৎপরতা বাড়ল। যেটা সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।