স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে বুধবার ইস্তফা দিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। এরপর প্রশাসনের তরফে নতুন নাম ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের কাছে কমিশনের আইনজীবী জানান, সিদ্ধার্থ মজুমদারের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি। পুরনো চেয়ারম্যানই কমিশনের শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করছেন। পুরনো চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়েই এসএসসি ভবনে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। গতকাল কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। এই পদত্যাগকে ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
গতকাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে শুভ্র চক্রবর্তী নামে এক আই এস পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণার পর তথ্য প্রমাণ বিনষ্ট হতে পারে, এমন আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। বুধবার রাতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, এসএসসি ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সিআরপিএফ। বৃহস্পতিবার এসএসসি মামলার শুনানি চলাকালীন কমিশনের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, নতুন চেয়ারম্যান নন, পুরনো চেয়ারম্যানই তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও সিদ্ধার্থবাবু কেন আচমকা ইস্তফা দিয়েছিলেন, তা নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশা কাটেনি। এই ধোঁয়াশার মধ্যেই সিদ্ধার্থবাবুকে সঙ্গে নিয়েই এসএসসির মূল সদর দফতর আচার্য ভবনে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক, এসএসসির বর্তমান উপদেষ্টা পার্থ কর্মকার ও সেক্রেটারি অর্ণব চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের অবশ্য বক্তব্য, কোর্টের নির্দেশেই সব কিছু হচ্ছে।কোন কোন বিষয়ের ওপর তদন্ত চালানো হয়, সেবিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের পদত্যাগের পর এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মামলাকারীদের তরফে আদালতকে জানানো হয়, সিদ্ধার্থ মজুমদারের পদত্যাগের পর উপদেষ্টা কমিটির ৫ সদস্যের সহযোগীরা এসএসসি ভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে তথ্য বিনষ্ট করা হয়ে থাকতে পারে বলে অভিযোগ তোলেন মামলাকারীরা।