Mamata Banerjee: রাত পোহালেই শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী, পরেরদিনই মেঘালয়ে মমতা

আজ, সোমবার স্টেডিয়ামে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ শিলিগুড়িতে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যার পাশাপাশি কন্যাশ্রী সরকারি আবাসনেও যাবেন। সেখানেই তিনি রাত্রিবাস করবেন বলে সূত্রের খবর। তারপর বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন মেঘালয়ে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামীকাল, মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান সেরে কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে রওনা দেবেন তিনি। সেদিন দুপুরে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে। সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে রাত্রিবাস করে বুধবার মেঘালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর।

ইতিমধ্যেই তিনি জেলা সফরে একাধিক জায়গায় গিয়েছেন। জঙ্গলমহল সফর সেরে তিনি কলকাতায় ফিরেছেন। আর তারপরই তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন। এদিকে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার অপচেষ্টা করছে বিজেপি। তাই বিধানসভায় বঙ্গ–ভাগ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে এই বিষয়ে সুর চড়াবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া বাংলাকে বঞ্চনা করার কথাও তিনি তুলে ধরবেন বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি পরিষেবা প্রদানের সভা ঘিরে প্রস্তুতি চরমে উঠেছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব নিজে সবকিছু তদারকি করছেন। ইতিমধ্যে গোটা চত্বরে বাড়ানো হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। ইতিমধ্যে পুলিশ কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। আজ, সোমবার স্টেডিয়ামে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার দুপুর ৩টে নাগাদ শিলিগুড়িতে সভা করে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যার পাশাপাশি কন্যাশ্রী সরকারি আবাসনেও যাবেন। সেখানেই তিনি রাত্রিবাস করবেন বলে সূত্রের খবর। তারপর বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন মেঘালয়ে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাঁকুড়ার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলার মানুষ ভিক্ষে চায় না। তারা অধিকার চায়। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। দিল্লির সরকার খাদ্যের টাকা কেটে নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে এখন আদার ব্যাপারীকে টাকা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছি।’‌