১ ডিসেম্বর থেকে শহরজুড়ে চালু হল উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ প্রকল্প। যার মাধ্যমে নগরবাসীদের এবার থেকে আর একসঙ্গে নয়, আলাদা করে ফেলতে হবে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা। এর জন্য কলকাতা পুর-এলাকার সব বাড়িতে একটা করে নীল ডাস্টবিন ও একটা সবুজ ডাস্ট বিন দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলররা শহর জুড়ে প্রকল্পটি চালু হওয়ার আগে নিজ নিজ ওয়ার্ডে বর্জ্য পৃথকীকরণের বিষয়ে সচেতনতা চালালেন। কাউন্সিলরদের একাংশ সচেতনতার জন্য বস্তি এলাকা বেছে নেন এবং বর্জ্য পৃথকীকরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানান।
কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত গুলাম মহম্মদ শাহ রোডের কাছে অবস্থিত একটি বস্তিতে একটি সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন। কীভাবে আলাদা করে ফেলতে হবে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা? তা তিনি দেখান। এর জন্য তিনি দুটি বালতি নিয়ে যান। একটি সবুজ এবং অন্যটি নীল। বস্তিবাসীদের তিনি বোঝান কোন বালতিতে কী বর্জ্য ফেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমি বস্তিবাসীদের বালতিগুলির কার্যকারিতা এবং পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া দেখিয়েছি। রান্নাঘরের বর্জ্য বা পচনশীল বর্জ্য সবুজ বালতিতে যেতে হবে এবং নীল বালতিতে শুকনো বর্জ্য যেমন প্লাস্টিক, কাগজ, কাচ এবং ধাতু অর্থাৎ অপচনশীল বর্জ্য ফেলতে হবে৷’ নাগরিকদের বাড়িতে বর্জ্য আলাদা করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত বলে তিনি জানান।
কাউন্সিলর প্রবীর মুখার্জি কালীঘাটের বস্তি এলাকায় সচেতনতা চালান। তিনি জানান, বাসিন্দারা বর্জ্য পৃথকীকরণের বিষয়ে যথেষ্ঠ আগ্রহী রয়েছেন। আমি দুটি রঙের বালতি বস্তিতে নিয়ে গিয়েছিলাম। কীভাবে বর্জ্য আলাদা করতে হবে তা দেখিয়েছি।’ কাউন্সিলর রাম পায়রে রামও নিজের ওয়ার্ডে বর্জ্য পৃথকীকরণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। তিনি জানান, এই প্রকল্পের উপকারিতা নিয়ে তিনি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষকে সচেতন করবেন।