পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৭ জন ও হাওড়ায় ৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলি থেকেও মৃত্যুর খবর এসেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে নিহতদের পরিবারকে ২.৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা দেখে তিনিও উদ্বিগ্ন। এমনকী বুধবার রাতে তিনি বাড়িতে ঢুকতে পারছিলেন না বলে জানান মমতা। ঝড়-বৃষ্টিতে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করতে জেলাশাসকদের ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন মমতা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা দেখতে আমন্ত্রণ জানান তিনি। বিভিন্ন জায়গায় গাছ সরানো ও পুনর্নির্মাণে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের আওতায় স্থানীয়দের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্নির্মাণের কাজ পরিচালনার জন্য তিনি মন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন। দায়িত্বে রয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসু ও অরুপ বিশ্বাস।