মহালয়ার পর থেকেই মানুষজন রাস্তায় নেমে পড়েছেন। কখনও শপিং তো কখনও প্যান্ডেল হপিং। কিন্তু এসব করতে গিয়ে প্রচুর মহিলার পকেটমারি হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ছিল পুলিশের কাছে। দুর্গাপুজোর ভিড়ে মিশে গিয়ে এই মহিলাদের পকেটমার গ্যাং দেদার হাত–সাফাই করতে শুরু করেছে। শপিং করতে আসা মহিলাদের ব্যাগ থেকে মোবাইল, মানি–পার্স সাফাই করে দিচ্ছে পকেটমারদের গ্যাং। মহিলা পকেটমারদের গ্যাংয়ের থেকে অনেকে আবার ধরা পড়েছে। কলকাতা পুলিশের তৎপরতা সেই সংখ্যা এখন বেড়ে চলেছে।
এদিকে এই মহিলা পকেটমারদের গ্যাংয়ে যারা আছে তাদের বয়স ৪০–৪২। আর তারা পরিকল্পনা করে একের পক এক মহিলাদের ব্যাগে হাত–সাফাই করছে। সুতরাং বেজায় বিপদে পড়ছেন ওই মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে। জিনিস অর্ডার দিয়ে টাকা বের করতে গিয়ে দেখছেন মানি–পার্স নেই। হাত–সাফাই হয়ে গিয়েছে। তবে মহালয়ার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ১২ জন মহিলা পকেটমার ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মহিলা পকেটমারদের সংখ্যা সম্প্রতি শহরে বেড়ে গিয়েছে। মহালয়া থেকে এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে মহিলা পকেটমারদের উপদ্রব নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন মহিলারা।
কেমন করে ধরা পড়ল? অন্যদিকে সিভিল ড্রেসে পুলিশ মহিলা পকেটমারদের ধরতে পথে নামে। নিউ মার্কেট থানা এলাকায় অভিযান শুরু করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের ওয়াচ শাখা। তারাই এই ১২ জন মহিলা পকেটমারকে গ্রেফতার করেছে। আর জানতে পেরেছে গ্যাং অনেক বড়। সারা কলকাতায় ছড়িয়ে রয়েছে মহিলা পকেটমার গ্যাং। সোমবারও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকেটমারির সঙ্গে চুরিও করে তারা। এমনই তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। এবার দুর্গাপুজোর মরশুমে চুরি, পকেটমারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে একাধিক। মহালয়ার দিন থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ শহরের নানা এলাকা থেকে মোট ১২ জন মহিলা পকেটমার এবং চোরকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় একদিন বন্ধ থাকবে সরকারি হাসপাতাল, বাকি সবদিন দরজা খোলা
কী উদ্ধার হয়েছে তাদের কাছ থেকে? এই মহিলা পকেটমার ও চোরের গ্যাংয়ের কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরির সময় ব্যবহারের সামগ্রী। আর পকেটমারদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ব্যাগ কাটার যন্ত্র। এছাড়া মোবাইল ফোন, মানি–পার্স উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাদের তোলা হলে বিচারক আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। লালবাজারের পক্ষ থেকে এই খবর মিলেছে। এরা উত্তর ও মধ্য কলকাতার নানা জায়গায় হাত–সাফাই করে।