গার্ডেনরিচে অনলাইন অ্যাপ প্রতারণায় অভিযুক্ত যুবক আমির খান বিদেশে আত্মগোপন করে রয়েছে বলে অনুমান ইডির। ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, রীতিমতো সাজিয়ে গুছিয়ে প্রতারণার কারবার করত আমির। পুলিশে অভিযোগ জমা পড়ার পর সে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে শুরু করে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আমিরের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ১৪৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে ৫টি অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেন হত। ই-নাগেটস অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে লাকি সিটি ও ওয়াও আমাজন নামে অ্যাপ খুলে প্রতারণা শুরু করেছিল আমির। কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ার পর ই নাগেটস অ্যাপটি বন্ধ করে দেয় সে। এর পর বাকি দুটি অ্যাপ খুলে প্রতারণা শুরু করে। জানা গিয়েছে ২০২০ সালে মাত্র ৬ মাসে আমিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে ৪৭ কোটি টাকা। তার সংস্থার তরফে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার টাকা লেনদেন হয়েছে। জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের ওই সংস্থার মাধ্যমে প্রতারণার টাকা ক্রিপটোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করত আমির।
এমনকী এই প্রতারণার সঙ্গে দুবাইয়ের যোগ রয়েছে বলেও দাবি গোয়েন্দাদের। এই চক্রের মূল পান্ডারা দুবাইয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমিরের খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে ইডি। কিন্তু গোয়েন্দাদের অনুমান, সম্ভবত দুবাইয়ে পালিয়েছে সে।