Kolkata book fair 2024: প্রথমবার বইমেলায় থাকতে পারেন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা, প্রস্তাব মহিলা কমিশনের

প্রাথমিকভাবে আবেদনে জানানো হয়েছে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ৯ জন বন্দিকে বইমেলায় পাঠানোর জন্য রাজ্য মহিলা কমিশনের স্টলে তারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর থেকে বইমেলায় স্টল দিচ্ছে রাজ্য মহিলা কমিশন। এই নিয়ে তারা দ্বিতীয়বার স্টল দিচ্ছে।

বইমেলায় থাকতে পারেন বন্দিরা। প্রতীকী ছবি 

আজ থেকে শুরু বইমেলা। এবার বইমেলায় গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এবার সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরাও বইমেলায় অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। বইমেলায় এই ধরনের পদক্ষেপ একেবারে প্রথম। বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের কয়েকজন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা যাচ্ছে। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে কারা দফতরের এক শীর্ষ কর্তাকে ইমেল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে অনেক বন্দি রয়েছে যারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাদের নিয়ে এই অনুষ্ঠান করার জন্য কারা দফতরের এক শীর্ষ কর্তাকে ইমেল করেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। যদিও এখনও এই বিষয়ে পুরোপুরি সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সে ক্ষেত্রে আবেদন এসে থাকলে আইন মেনে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কারা দফতরের এক শীর্ষকর্তা। প্রাথমিকভাবে আবেদনে জানানো হয়েছে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ৯ জন বন্দিকে বইমেলায় পাঠানোর জন্য রাজ্য মহিলা কমিশনের স্টলে তারা অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন। উল্লেখ্য, গত বছর থেকে বইমেলায় স্টল দিচ্ছে রাজ্য মহিলা কমিশন। এই নিয়ে তারা দ্বিতীয়বার স্টল দিচ্ছে। আগামীকাল এই স্টলের উদ্বোধন হবে। সে ক্ষেত্রে বন্দিদের সকালে নিয়ে গিয়ে রাতের মধ্যে জেলে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। ১২ ঘণ্টার জন্য তাদের জেলের বাইরে রাখা যেতে পারে বলে জানা গিয়েছে। 

সাধারণত, বন্দিদের কোনও অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হলে সেক্ষেত্রে বন্দিদের  দিয়ে সংশোধনাগারের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে গন্তব্যস্থল পরিদর্শন করে দেখে পুলিশ। বন্দিদের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হলে পুলিশ, জেল রক্ষী, জেলের অন্যান্য আধিকারিক এবং সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকে। বইমেলার ক্ষেত্রে অনুমতি মিললে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেই জেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বহু সাজাপ্রাপ্ত আসামী। যার মধ্যে একজন হলেন বারাসতের হৃদয়পুরে খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত মনুয়া মজুমদার। তিনি জেলের মধ্যে একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন। তাকে বইমেলা পাঠানো হতে পারে কিনা তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এর আগে বর্তমানে খাদ্য মেলায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে যোগ দিয়েছিলেন জেলের সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা। এবারের বইমেলায় মহিলা কমিশনের স্টলের উদ্বোধন হবে আগামীকাল।