রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই হুঁশিয়ারিকেও ডোন্ট কেয়ার করে সরাসরি সংঘাতে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এবার মাঝরাতে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল আচার্য সিভি আনন্দ বোস। মাঝরাতে রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্যপাল কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন। এটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাওয়ার সামিল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রী কি রাজভবনের সামনে ধরনায় বসবেন?
এদিকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বিকাশ ভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাই তাঁদের চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারণ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছিলেন, উপাচার্যের কথাই শুনে চলতে হবে। অন্যান্য আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের কথা শুনতে বাধ্য নন। তারপরই এমন বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এমন আবহে মাঝরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ আবার রাজ্য সরকারের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়া বলে মনে করা হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে–কে নিয়োগ করছেন বলে খবর। রাজ্যপাল নিয়োগপত্রে সই করছেন—এমন ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তোপ দেগেছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘উনি (রাজ্যপাল) একটাও বিল ফেরত পাঠান না। সব বিল আটকে রেখে দেন। এটা ওনার অধিকারে নেই। সংবিধান বলেছে, রাজ্য রাজ্যপালকে বিল পাঠালে সেটা ফেরত পাঠাতে হয়। আর একবারের জায়গায় দু’বার পাঠালে ওটা আইন হয়ে যায়। আশা করি এটা আমি ভুল বলিনি। আমি ব্রাত্য আর মণীশকে বলব, প্লিজ টেক কেয়ার। আমাদের এই ব্যাটেলটা ফাইট করতে হবে খুব ভালভাবে। যদি মনে হয় কারও অধিকার কেউ কেড়ে নিয়ে ফেডারেলিজমকে আঘাত করছে তাহলে আমি কিন্তু বাধ্য হব গভর্নর হাউজের সামনে ধরনা দিতে। আমি এডুকেশন সিস্টেমকে কোলাপস করতে দেব না।’
আরও পড়ুন: অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ ঠুকল বিজেপি, ধূপগুড়ি মহকুমা ইস্যুর জের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই হুঁশিয়ারির পরও মাঝরাতে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে কার্যত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালের নাম না করেই তাঁকে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে ‘আর্থিক অবরোধ’ করার হুঁশিয়ারি দেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘আপনি (রাজ্যপাল) যদি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তক্ষেপ করেন, আর কোনও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার কথা শুনে চলে আমি কিন্তু অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে টিট ফর ট্যাট। নো কম্প্রোমাইজ। দেখি আপনি কোন কলেজ, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাইনে দেন।’