রাজ্যে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলায় জেলায় বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গিবাহী মশার দাপট কমাতে নিয়মিত আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলা হচ্ছে প্রশাসনকে। কিন্তু, কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। চিকিৎসা বর্জ্য ঠিকমতো ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না। যার ফলে সেখানে গড়ে উঠছে আবর্জনার স্তুপ। এমনই ছবি কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। এই অবস্থায় আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ১ সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২০০, ১০, ১১ ও ১২ বোরো নিয়ে চিন্তা
স্বাস্থ্য ভবনের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পরে বৈঠকে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবর্জনা পরিষ্কার করতে উদ্যোগী হয়। জানা গিয়েছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা হাসপাতালে যত্রতত্র নোংরা–আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেন। এর পাশাপাশি হাসপাতালে যত্রতত্র জল জমেও থাকতে দেখেন। ওই দল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্বাস্থ্য দফতরে নিজেদের অভিমত জানায়। তারপরেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে চিঠি দিয়ে অবিলম্বে আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্লাভস, মাস্ক ঠিক জায়গায় ফেলা হচ্ছে না, সেগুলি যেখানে সেখানে গিয়ে পড়ে থাকছে। চিকিৎসা বর্জ্য ফেলার জন্য যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম হাসপাতালের তরফে মানা হচ্ছে না। তাছাড়া প্রচুর আবর্জনা এবং বিভিন্ন জায়গায় জল জমে থাকার ফলে সেখানে ডেঙ্গি মশার লার্ভা বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এমনকী বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভেতরে মাস্ক, গ্লাভস পড়ে থাকছে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরে হাসপাতাল পরিষ্কার উদ্যোগী হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যে এ বছর ডেঙ্গি মারাত্মক আক্রান্ত ধারণ করেছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে অধিকাংশই ভর্তি রয়েছেন সরকারি হাসপাতালে। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। এই জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত। কলকাতায় এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। তার মধ্যে আবার গত বেশ কয়েকদিনে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।