সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। শোভনের কাছে রত্না পর্ব এখন অতীত। তাঁর হৃদয় জুড়ে শুধুই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু শোভন সম্পর্কে ঠিক কী মূল্যায়ন রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের?
শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, শোভন এজলাসেই ছিলেন। কিন্তু সেখানে যে কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে বলতে গেলে অকথা কুকথার অভিধান নিয়ে বসতে হবে। ওরা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রত্না চট্টোপাধ্যায় যখন কোর্টে আসেন, ওনার সঙ্গীসাথীদের বক্তব্য হল এমএলএ কাউন্সিলররা এলে তাদের অনুগামীরা আসেন। কিন্তু তারা এলে যে কথা বলেন তা অকথা কুকথার অভিধান নিয়ে বসতে হবে। সভ্য সমাজে এসব কথা ব্যবহার হয় সেটা জানা নেই। শোভন এজলাস থেকে বেরিয়ে আসছেন আর ভীষণ চিৎকার। পুলিশ বার বার বিরত করার চেষ্টা করেছে। মানুষের শুভবুদ্ধির যখন অস্তমিত হয় তখন তাকে লাগাম পরানো যায় না। আামাকে নানা কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। কী চালাচ্ছে ওরা। ওনারা আমার ছবি তোলার চেষ্টা করছেন। ওনার ছবি যখন দেখাবে তখন ওদের নিজেদের বাড়ির কাছে লজ্জাবোধ হবে না।
শোভন বলেন, বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ মন্দ করা হচ্ছে। সবটাই লক্ষ্য করলাম। এটা কি ভদ্রতা? এটা কি আদালত? ২৭ এপ্রিলও হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে হয়েছে। আলিপুর থানার মধ্য়ে পড়ে। মহিলা পুলিশও রাখা হয়েছিল। আমি বিচ্ছেদ চেয়েছি। এই ধরনের গালিগালাজ। আমি রাজনীতির মধ্যে ছিলাম। আমি তাদের সবটা জানি।
রত্না বলেন, তাদেরকে ভয় দেখানোর ক্ষমতা কারোর আছে? আমি বিধায়ক। আমার দলের সরকার কাউকে নিরাপত্তা দিলে আমি তাদের গালাগাল করব। আমার সঙ্গে দু তিনজন যাওয়া অপরাধ হলে বৈশাখীর শোভনের সঙ্গে যাওয়াও অপরাধ। আমি ২২ বছর ভালো জীবন কাটিয়েছি। যদি শোভন বাবুর ভুল মনে হয় চলে গিয়েছেন। কোনও কিছুই বলার নেই। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে নেই তিনি বেআইনী ভাবে বাড়ি কিনেছেন। আমি ভয় থাকলে কেস চালাতাম! সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। আপনি কি বিচ্ছেদ চাইছেন? প্রশ্ন সংবাদমাধ্যমের। রত্নার জবাব, কখনওই নয়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুক এটাই চাইছি। বললেন রত্না।