দূষণ নিয়ন্ত্রণ মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। তার জেরে বাতাসে বিষ তৈরি হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বহু পরিবেশবিদের। এবার এই বিষয়টি নিয়ে বাংলার একাধিক আইএএস অফিসারকে আজ, সোমবার নয়াদিল্লিতে তলব করেছে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। আর এই সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হলেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদটি সাংবিধানিক। তার চেয়ারম্যানের মর্যাদা মন্ত্রিসভার সদস্যের সমান। তাই পিএসি ডেকে পাঠালে হাজিরা দিতেই হয়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যে, শহর কলকাতায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। তার বিভিন্ন কারণও রয়েছে। কলকাতা পুরসভা দূষণ কমাতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করলেও দূষণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে অভিযোগ। বাংলায় প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং বনাঞ্চলে দূষণের বিষয় নিয়েই মূলত তলব করা হয়েছে রাজ্যের আমলাদের। এখন কেমন পরিস্থিতি এবং তা কেমন করে সমাধান করা যায় তা নিয়েই আলোচনা হবে বলে সূত্রের কবর। তবে অফিসারদের তালিকার মধ্যে রয়েছে— পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মেম্বার সেক্রেটারি রাজেশ কুমার, কলকাতা পুরসভার সচিব খলিল আহমেদ, পরিবেশ দফতরের সচিব নন্দিনী ঘোষ, পুরসভার সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি সুজাতা ঘোষ এবং কলকাতা পুরসভার স্পেশাল কমিশনার সোমনাথ দে।
কেন এমন তলব করা হল? গতবছর ক্যাগ (কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটরস জেনারেল) পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। সেখানে কিছু প্রশ্ন তুলেছিল তারা। যার উত্তর সেভাবে মেলেনি বলে অভিযোগ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে অর্থ খরচ করা হয়েছিল সেটা আদৌ কার্যকর হয়েছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ক্যাগ। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠতে পারে। এমনকী জানতে চাওয়া হতে পারে গোটা বিষয়টি। বাংলার অফিসাররা সেই কৈফিয়তের জবাব দেবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির এই বৈঠকে কেন্দ্রের পরিবেশ মন্ত্রকের অফিসারদের উপস্থিত থাকার কথা আছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ নওশাদ–বিকাশরঞ্জন, পৃথক কোন মামলায় একমঞ্চে এলেন?
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক নিয়ে নিয়ম জারি হয়েছে। শহরে ৫০ মাইক্রনের তুলনায় কম পুরু প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকী ২০২২ সালের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নিয়মে সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়, পুনর্ব্যবহার যোগ্য বা নতুনভাবে এমন কোনও প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি করা এবং মজুত করা যাবে না। যা ৭৫ মাইক্রনের থেকে কম হবে। এই নিয়ম কলকাতা শহরের অনেক দোকানেই কার্যকর হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে তা কার্যকর হয়েছে কিনা সেটা এই বৈঠকে উঠে আসবে। যদিও কিছু তথ্য জোগাড় করেছে পিএসি। যা এবার আলোচনার টেবিলে রাখা হবে বলে সূত্রের খবর।