হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরে মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়ে যাবে দর্শনার্থীদের ভিড়। এবার পুজোয় বিদেশীদের বাড়বে বলে মনে করছে পুলিশ। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রতিবারের মতো এবারও পুজো মণ্ডলগুলিতে দর্শনার্থীদের সুরক্ষায় কতটা ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে ইতোমধ্যেই মণ্ডপ পরিদর্শন করা শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতোমধ্যেই কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) সন্তোষ পাণ্ডে কলকাতার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। আর আগামী কাল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েl শহরের মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো শুরু ৩,০০০ বছরের পুরনো পুরুলিয়ার রাজবাড়িতে রামের ধারা মেনে হয় পুজো
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ কমিশনার শহরের বিভিন্ন প্রান্তের ৮টি পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন। পুলিশ কমিশনার প্রথম পরিদর্শন করবেন একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো। এরপর বোসপুকুর শীতলা মন্দির, দেশপ্রিয় পার্ক, ত্রিধারা সম্মিলনী, চেতলা অগ্রণি, সুরুচি সংঘ পরিদর্শন করবেন। মধ্য কলকাতার কলেজ স্কয়ার ও বেহালার নূতন দলের পুজো মণ্ডপও পরিদর্শন করবেন পুলিশ কমিশনার।
উল্লেখ্য, সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়েছে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার। সে ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখা হচ্ছে নিয়মবিধি ঠিকমতো মানা হয়েছে কিনা। পাশাপাশি পুজো উদ্যোক্তাদের একাধিক অভিযোগ শুনেছেন। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্তোষ পাণ্ডে শহরের একাধিক মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এদিন প্রায় ৯টি মণ্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দমকলের আধিকারিক এবং কলকাতা পুরসভা ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা।
এদিন তিনি বাদামতলার আষাঢ় সংঘের মণ্ডপ, দেশপ্রিয় পার্কের পুজো মণ্ডপ, বোসপুকুর তালবাগান, শীতলা মন্দিরের পুজো, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ঘুরে দেখেন। দেশপ্রিয় পার্কের মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে দর্শনার্থীদের কিছু অসুবিধা নিয়ে অভিযোগ করেন পুজোর উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, এই পুজোর মণ্ডপ ঘুরতে গিয়ে দর্শনার্থীদের প্রায় ২.৫ কিলোমিটার ঘুরতে হয়। তাই এই বিষয়টি যাতে পুলিশ বিবেচনা করে সেই বিষয়ে তিনি আবেদন জানান। যুগ্ম কমিশনার তা খতিয়ে দেখার আশ্রয় দেন। অন্যদিক, বোসপুকুর তালবাগানের পুজো উদ্যোক্তারা যুগ্ম কমিশনের কাছে পুজোর সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখার আবেদন জানান।
অন্যদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে গত বছর লেজার শো'কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ভিড় হয়েছিল দর্শনার্থীদের। তা সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে। শেষে বন্ধ করতে হয় লেজার শো। এদিন মণ্ডপ পরিদর্শনে বেরিয়ে আরও কী সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন যুগ্ম কমিশনার।