একুশে জুলাইয়ের সভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। আবার করোনাভাইরাস বাড়ছে। তাই গত দু’বছরের মতোই এবারও ভার্চুয়ালি সভা করা হোক অথবা কড়া গাইডলাইন মেনে হোক সভা। এই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। যদিও রাজ্যের পক্ষ থেকে কোভিড গাইডলাইন মেনেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই মামলায় শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান করা হবে সন্ধ্যায়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? হাতে আর বাকি একটা দিন। তারপরই ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ। সেটা আটকাতে মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আবেদনে রাখা হয়েছে বাড়ছে করোনাভাইরাস। এই মামলার শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিকেলের পর রায় দেবে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আর সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
কেন সন্ধ্যায় রায় কলকাতা হাইকোর্টের? আজ, মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়ে আরও কয়েকটি মামলা দায়ের হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই রায়দানের বিষয়ে বিচারপতি বলেন, ‘একসঙ্গে সব মামলাগুলি দায়ের হচ্ছে কি না, দেখা দরকার। তার পর সন্ধ্যায় আমরা নির্দেশ দেব।’ সুতরাং এখন স্নায়ুর চাপ বাড়ল শাসকদলের বলে মনে করা হচ্ছে।
কী উঠে আসে সওয়াল–জবাবে? এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন চিকিৎসক সঞ্জীবকুমার মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, রোজই বেড়ে চলেছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে ৮–১০ লাখ মানুষের সভা করা ঠিক হবে না। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভা করা হোক। পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের জবাব, কোনও বন্ধ জায়গায় নয়, খোলা জায়গায় সভা হচ্ছে। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অত্যন্ত কম।