পুরো দেহ মেলেনি। তিনটি কালো প্লাস্টিকে টুকরো-টুকরো করে রাখা ছিল দেহের বিভিন্ন অংশ। একটি প্লাস্টিকে ছিল কাটা মুন্ডু। মাথায় ছিল সিঁদুর। বিভিন্ন প্লাস্টিক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বুকের একাংশ এবং কাটা পা। মেলেনি হাত, পেট এবং পায়ের পাতা।
সেভাবেই মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জে যুবতীর দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। যে ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য যুবতীর দেহাংশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে। সম্ভবত প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর দেহের বিভিন্ন অংশ টুকরো-টুকরো করে কেটেছে এক বা একাধিক আততায়ী। তারপর দেহের বিভিন্ন অংশগুলি তিনটি কালো প্লাস্টিকে মুড়ে ওয়াটগঞ্জে সিআইএসএফের পরিত্যক্ত ব্যারাকে ফেলে যাওয়া হয়েছে। যে কালো প্লাস্টিক দেখেই সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। দুর্গন্ধ বেরনোয় তাঁরা খবর দেন পুলিশে।
সূত্রের খবর, একটি প্লাস্টিকের ভিতর থেকে ইটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তা থেকে পুলিশ অনুমান করছে যে নদীতে দেহের একাংশ ফেলে দেওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু বাকি দেহাংশের কী হল, সেগুলি কোথায় রাখা হয়েছে, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। যুবতীর দেহের একাংশ আগেই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়েও ধন্দ আছে।
সেই পরিস্থিতিতে খুনের কিনারা করতে ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। আশপাশের কোনও বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেহ উদ্ধারের পরই ঘটনাস্থলে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ডগ স্কোয়াডকে আনা হয়। সেই সূত্র ধরে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনে এলাকায় কোনও সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড চোখে পড়েছে কিনা, তা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় ওয়াটগঞ্জ থানায় একাধিক ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। খুনে, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার, দেহ বিকৃত করার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আপাতত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে।