লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। তবে এই নির্বাচন দুয়ারে আসার বহু আগে নির্দেশিকা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছিল, ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দিতে হলে ফর্ম–৭ পূরণ করা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ এই ফর্ম পূরণ করতে হবে। তবে তা করতে পারবেন না ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা। ভোটারের নাম বাদ দিতে হলে লিখিত আকারে নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা এবং প্রমাণ সামনে আনতে হবে। এখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে। তাই পুরনো নির্দেশিকা এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
এদিকে বাংলায় এখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় জেলায় সফর করছেন। আর সেখানেই সিএএ নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন। তাতে গোটা গ্রামবাংলা এখন তেতে আছে। নিজের প্রাণ দেবেন কিন্তু বাংলায় ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না বলে সরব হয়েছেন। এমনকী কারও নাগরিকত্ব গেলে তিনি চুপ করে থাকবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি নেতারা বলছেন, সিএএ আবেদন করলে কারও নাগরিকত্ব হারাবে না। সেখানে এবার লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার প্রাক্কালে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট বার্তা থাকা জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এককভাবেই তৈরি হয়ে গেল প্রার্থী তালিকা, সুজন–সৃজন–দীপ্সিতাই বামেদের চমক
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হলে ফর্ম–৭ পূরণ করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। এই ফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার। আসল ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায় তার জন্যই এই ফর্ম ব্যবহারের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এই ফর্মের সঙ্গে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ যাচাই করতে হবে কমিশনের অফিসারদের। সেটা আবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখবে। এখন লোকসভা নির্বাচনের প্রচার, কমিশনের কাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলা থেকে ঘুরে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। তারা একগুচ্ছ গাইডলাইন দিয়ে গিয়েছে।
এছাড়া ভোটার তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ যেতে পারে? এই প্রশ্নের এখন উত্তর খুঁজছে সকলে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা থেকে জানা গিয়েছে, একই ব্যক্তির ছবি বারবার ব্যবহার হলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যেতে পারে। আবার একই ব্যক্তির নাম নানা ঠিকানায় পাওয়া গেলে নাম বাদ যাবে। এমনকী কোনও মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলে নাম বাদ পড়বে। এবার আবহ তৈরি হয়েছে সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে। এই আইনকে ব্যবহার করে কোনও ভোটারের নাম বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ এই ভোটার আসলে দেশের নাগরিক। এই নিয়ে এখন জোর চাপানউতোর চলছে। এখন দেখার নির্বাচন কমিশন কোনও বার্তা দেয় কিনা।