ভবানীপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় মিলেছে নয়া তথ্য। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনে মূল অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর পরিচিতই ছিল। অভিযুক্তের সঙ্গেই গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। খুনের পিছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন শান্তিলাল বৈদ নামে ভবানীপুরের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। এলগিন রোডের একটি গেস্ট হাউস থেকে ব্যবসায়ীর নগ্ন দেহ উদ্ধার হয়েছে। ব্যবসায়ীর পরিবারের তরফে জানানো হয়, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে ওই গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু কেন স্বেচ্ছায় ওই ব্যবসায়ী গেস্ট হাউসে গিয়েছিলেন, তার কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এদিন গেস্ট হাউসের যে ঘর থেকে ব্যবসায়ীর দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে লুব্রিক্যান্ট পাওয়া গিয়েছে। খাবার প্লেটও পাওয়া গেছে। তাতে আধ খাওয়া খাবার ছিল। ছিল সিগারেটের প্যাকেটও। অভিযুক্ত যে ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত ছিল, এই সব প্রমাণ দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন। তদন্তকারীরা এই খুনের পিছনে কারণটা প্রথমে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন গোয়েন্দারা। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, গলা টিপে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনের ব্যক্তিগত আক্রোশ কাজ করতে পারে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই গেস্টহাউসের মালিক এবং অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। হোটেলের রেজিস্ট্রার দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিজের কাকা পরিচয় দিয়ে গেস্টহাউসে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু গতকাল রাত্রিবেলা চেক আউট না করেই বেরিয়ে যান তিনি। রাতে সন্দেহ হওয়ায় হোটেল কর্মীরা বারবার ঘরের দরজা ধাক্কা দিলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাননি। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।