রাত পোহালেই বাংলার নতুন বছর। বাঙালির নববর্ষ। এই নববর্ষ উপলক্ষ্যে এবার চমক দেখা যেতে চলেছে মিড–ডে মিলের মেনুতে। কিন্তু পয়লা বৈশাখ তো রবিবার পড়েছে। তাহলে চমকদার মেনু কেমন করে মিলবে পড়ুয়াদের? উঠছে প্রশ্ন। বাংলার স্কুলগুলিতে এবার মিড–ডে মিলে পড়ুয়াদের জন্য রাখা হয়েছে হরেকরকম বিশেষ পদ। নববর্ষ রবিবার। তাই স্কুল ছুটি থাকবে। সেক্ষেত্রে সোমবার পড়ুয়াদের জন্য একাধিক স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্রদের জন্য পকেটের টাকা খরচ করে নানা পদ পাতে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছেন পড়ুয়াদের নানা পদের খাবার খাওযাবেন। সুতরাং মিড–ডে মিলের মেনু ফাটাফাটি।
এদিকে বাংলা নববর্ষের দিনে স্কুল ছুটি থাকলেও কচিকাঁচা পড়ুয়ারা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার প্রথম পয়লা বৈশাখ দিনটিকে ‘রাজ্য দিবস’ হিসাবে পালন করবেন সকলে। তাই দিনটিকে পড়ুয়াদের কাছে স্মরণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। এখান থেকেই বলা হয়েছে, বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে ১৫ এপ্রিল মিড–ডে মিলে বিশেষ মেনু রাখতে। রাজ্যের মিড–ডে মিল প্রকল্পের অধিকর্তা পারমিতা রায় এই বিষয়ে বলেন, ‘রোজ একই খাবার খায় ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলগুলি যদি নববর্ষ উপলক্ষ্যে বাচ্চাদের বিশেষ কিছু খাওয়ায় তাই আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: আলিপুরের হস্টেলে আত্মঘাতী খড়্গপুরের পড়ুয়া, ছাত্রীর সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক তথ্য
অন্যদিকে এই খবর ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের কানে পৌঁছে গিয়েছে। তা শুনে সবাই লাফ দিয়ে উঠেছে। আর জেলা স্তর থেকে স্কুলগুলির কাছে নির্দেশ গিয়েছে। তা থেকেই খবর চাউর হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্কুলগুলিতে বিশেষ মিড–ডে মিলের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বহু স্কুল এই কথা শুনে এগিয়ে এসেছে। মেনু ঠিক করতে আজ, শনিবার স্কুলগুলি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারি সব স্কুলগুলির পড়ুয়ার পাতে তাই পড়তে চলেছে ফ্রায়েড রাইস, ডিমের কষা, আলুর দম ও মিষ্টি। কলকাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘কলকাতা জেলার সব স্কুলে সোমবার ডিমের কষা আর ফ্রায়েড রাইস দেওয়া হবে। থাকবে আলুর দম ও মিষ্টি।’
আর জেলায় কী হবে? জেলার বহু স্কুল এলাহি পদের ব্যবস্থা করছে পড়ুয়াদের জন্য। তাতে থাকছে—কোথাও মাংস–ভাত। কোথাও পোলাও–আলুর দম। কোথাও ফ্রায়েড রাইস–ডিমের কষা। আর শেষ পাতে পায়েস অথবা মিষ্টি। রাজ্যের মিড–ডে মিল প্রকল্পের অধিকর্তার কথায়, ‘আমরা দেখতে চাই এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তার উপর ভিত্তি করে শিশু দিবস, শিক্ষক দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলিতেও বিশেষ মেনু চালু করার কথা ভাবা হতে পারে।’