অবশেষে নিউটাউনে ভার্টিকাল সিটির ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য় আবেদন করল ওয়েস্ট বেঙ্গল হিডকো। নিউ টাউনের ফিনটেক হাবে এই ভার্টিকাল সিটি তৈরি হবে। বৃহত্তর কলকাতার মুকুটে যুক্ত হবে নয়া পালক। আর সেই শহর তৈরির ক্ষেত্রে পরিবেশগত নিয়ম যাতে বজায় রাখা হয় সেটা দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, এই আকাশ শহরের মোট বিল্ট আপ এরিয়া হবে ৩১২৫২ বর্গমিটার।
এখানে একদিকে যেমন কমার্শিয়াল নানা ফার্ম থাকবে। সেই সঙ্গে বসবাসের উপযোগী জায়গাও থাকবে।
নিউটাউনে প্রস্তাবিত ভার্টিকাল সিটি। নিউ টাউনে তৈরি হবে এই উল্লম্ব শহর। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, জি+২৭ তলা এই শহর তৈরি হবে। ফিনটেক কোম্পানিগুলির জন্য় একাধিক তলা বরাদ্দ করা থাকবে। আবাসনের পাশাপাশি এখানে মূলত নানা ধরনের বাণিজ্যিক ফার্মের অফিস থাকবে। তবে এই উল্লম্ব শহরের প্রতিটি জায়গার যাতে ব্য়বহার করা হয় সেব্যাপারে খেয়াল রাখা হচ্ছে। একটি মাত্র বিল্ডিংয়ের উপর তৈরি হবে শহর।
আসলে শহর মানেই মূলত অনুভূমিকভাবে তৈরি হয়। তবে এবার বিষয়টি একটু অন্যরকম। আকাশের উপর তৈরি হবে এই শহর। একটি সিঙ্গল বিল্ডিংয়ে উল্লম্বভাবে এই শহর তৈরি হবে। মূলত যেটা জানা গিয়েছে প্রথম তিনটি তলা কমার্শিয়াল প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে।
প্রাথমিকভাবে একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিন তলায় ফুড কোর্ট থাকবে। চতুর্থ থেকে নবম তলা পর্যন্ত থাকবে অফিসের জন্য জায়গা। স্টার্ট আপ ও ফিনটেক কোম্পানির জন্য় এই স্পেস থাকবে। দশম তলাটি থাকবে সার্ভিস ফ্লোর। তারপর থেকে ২৮ তলা পর্যন্ত থাকবে বসবাসের জন্য।
এখানে ক্লাব হাউস, স্কাই ডেকও থাকবে। বিশ্ব বাংলা সরণীর কাছেই গড়ে উঠবে এই আকাশ শহর।
প্রসঙ্গত এর আগে নিউ টাউনে তৈরি হয়েছিল ভার্টিকাল গার্ডেন। উল্লম্ব তৈরি হয়েছে এই বাগান। এবার নিউ টাউনে উল্লম্ব শহরের প্রস্তাব। মাটি থেকে উল্লম্বভাবে হবে এই শহর।মালয়েশিয়া বা সিঙ্গাপুরে নয় এবার বাংলার নিউটাউনেও তৈরি হবে উল্লম্ব শহর। একদিকে যেমন বাণিজ্যিক স্পেস থাকবে এই বিল্ডিংয়ে তেমনি এই বিল্ডিংয়ে থাকার ব্যবস্থাও থাকবে। একথায় একেবারে অভিনব উদ্যোগ। সব দিক বিচার বিবেচনা করে এই উল্লম্ব শহর তৈরি হচ্ছে। শহরের উপর চাপ কমাতে এই উদ্যোগ আরও ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।