ভোটের মুখে যত তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি নিজেদের কল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরে ততই তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছে শাসকদল তৃণমূল। বুধবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা করে বোঝানোর চেষ্টা করেন, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা তাদের থেকে অনেক ভাল।
এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার মানুষ বহিরাগতদের চায় না। যারা আজকে বাইরে থেকে আসছেন, বলছেন, গুজরাট করে দেবেন। তারা একটু শুনুন তাদের রাজ্য কোথায় আর আমাদের রাজ্য কোথায়।
এর পরই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যক্ষেত্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন চন্দ্রিমা। সরকারি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন পশ্চিমবঙ্গ অনেক এগিয়ে। কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন ওই প্রকল্পে দেশের ৫০ কোটি মানুষ সুবিধা পাবে। ৮০ কোটি মানুষ পরিষেবার বাইরে থাকবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প তার আনেক আগে চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে রাজ্যের ১০ কোটি বাসিন্দার মধ্যে ৭.৫ কোটি ইতিমধ্যে পরিষেবা পাচ্ছেন। তাছাড়া আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য সরকারকে দিতে হবে।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূরদর্শিতাতেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দূরদর্শিতাতেই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে তৈরি হয়েছে প্রথম কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক।
বলে রাখি, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে টক্কর দিতে নরম হিন্দুত্বের তাস খেলার পাশাপাশি নিজেদের সরকারের সাফল্যগুলিকে বিশেষ ভাবে প্রচার করেছিল আম আদমি পার্টি। তাতেই মেলে সাফল্য। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই এই রণনীতি নিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লি নির্বাচনে কেজরিওয়ালের সেই সাফল্যের পরই প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কৌশলি হিসাবে নিয়োগ করে তৃণমূল।