দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তবে সবটাই বৃথা গেল, কারণ শেষরক্ষা হল না। অভিযোগ, টানা ছ'দিন কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন রোগী। অবশেষে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যু হল শিলিগুড়ি রতন শীলের। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিলিগুড়ির বাসিন্দার মৃত্যুতে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলল মৃতের পরিবার। গত ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ির বাসিন্দা রতন শীল দুর্ঘটনায় আহত হন। মঙ্গলবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
একটি ভিডিয়োতে (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) দেখা গিয়েছে, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রতন শীল। পরিবারের কেউ তাঁর বুকে হাত বুলিয়ে চলছেন। এই ঘটনার পর দেহ নিতে অস্বীকার করেছেন পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। প্রথমে রতন শীল ভরতি ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। গত ২৫ জানুয়ারি তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। ২৬ জানুয়ারি তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল পরিবার। মৃতের পরিবার দাবি করেছে, তারপর এসএসকেএম, আরজিকর, এনআরএস ঘুরে ২৭ জানুয়ারি ভরতি করা হয় সেই এসএসকেএম হাসপাতালে। আজ সকালে ওই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, ভরতি করা হলেও তাঁর সঠিক চিকিত্সা হয়নি।
প্রায় ২৬ ঘণ্টার টানাপোড়েনের পর গত ২৭ জানুয়ারি রতন শীলকে ভরতি নেওয়া হয়েছিল মেডিসিন বিভাগে। সমস্যা অর্থোপেডিকের। অভিযোগ, ২৭ থেকে ২ তারিখ কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে ছিলেন রতনবাবু। আর চিকিৎসকরা পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, অর্থোপেডিক বিভাগে একটিও বেড খালি নেই। অর্থপেডিকের সমস্যা নিয়ে কেন একজন রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভরতি করা হল? ট্রমা কেয়ারে না রেখে মেডিসিন বিভাগে ফেলে রাখা হল কেন? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।