আগামী রবিবার কালীপুজো। তার আগে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কালীপুজো বা দীপাবলির সময় শহরে কোনওভাবে যাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো না হয় সে বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। সেক্ষেত্রে নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা তোলার আবেদন BJP সাংসদের, ‘দূষণ কেন চাইছেন?’ প্রশ্ন SC-র
কালীপুজো এবং দীপাবলিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে বৃহস্পতিবার সল্টলেকের পরিবেশ ভবনে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বহু আবাসনের বাসিন্দাদের বৈঠক হয়। সেখানে কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া সহ অন্যান্য পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে শব্দবাজি নিয়ে পুলিশকে সতর্ক করেছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তার ভিত্তিতে পুলিশের তরফে জানানো হয়, যেখানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে সে ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ শব্দবাজি রুখতে নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কোথাও নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাওয়া যাচ্ছে বা সরবরাহ করা হচ্ছে কি না তার সূত্র ধরেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। কোথাও নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাওয়া গেলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে যে আবাসনগুলিতে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাওয়া গিয়েছে সে ক্ষেত্রে মামলা হয়েছে বলে এদিন জানানো হয়। তার ভিত্তিতে আবাসনের বাসিন্দাদের এদিন সতর্ক করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।এর পাশাপাশি শব্দবাজির মাত্রা পশ্চিমবঙ্গে ৯০ থেকে বাড়ি ১২৫ ডেসিবেল করার প্রসঙ্গে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্ধ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ শব্দবাজির পাশাপাশি সম্প্রতি কলকাতায় বায়ু দূষণ মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজির ধোঁয়ায় বায়ু দূষণের প্রসঙ্গও ওঠে এদিনের বৈঠকে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়, সাধারণত বৃষ্টি হলে ধূলিকণা মাটির কাছাকাছি থাকে। অন্যান্য সময় বাতাসের দূষণ কম থাকে। শীতকালে বৃষ্টি না হওয়ায় ধূলিকণা মাটির কাছে থাকে না। সেই কারণে অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বায়ু দূষণের মাত্রা সবথেকে বেশি থাকে। এ বিষয়ে পর্ষদের চেয়ারম্যান জানান, আবহাওয়ার পরিবর্তন কারও হাতে নেই। তবে সবাই এগিয়ে আসলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ কতটা সক্রিয়? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।