বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Calcutta High Court : ৬ নতুন উপাচার্য নিয়োগের মনোনয়ন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি, সার্চ কমিটি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন

Calcutta High Court : ৬ নতুন উপাচার্য নিয়োগের মনোনয়ন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি, সার্চ কমিটি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন

বিকাশ ভবন। ফাইল ছবি

২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হয়ে এই বিজ্ঞপ্তি কেন? উঠছে প্রশ্ন।

রাজ্যের ২৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। তারই মধ্যে রাজ্যের অধীনে থাকা ছ'টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে মনোনয়ন চেয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উপাচার্য নিয়োগ ও পুনর্নিয়োগ নিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলা চলছে, আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে তার শুনানি। তার আগে এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, 'যদি কোথাও কোনও ভুলচুক থাকে, তা হলে নতুন আচার্যের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষা দপ্তর তা সংশোধন করবে।'

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , উপাচার্য পদে যাঁদের নাম প্রস্তাব করা হবে তাঁদের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তার মধ্যে অন্তত পাঁচ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পদে কর্মরত থাকতে হবে। অথবা গবেষণা ও শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক সংস্থায় ১০ বছরের অভিজ্ঞদের নাম প্রস্তাব করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর অধ্যাপকের সমতুল পদে কাজ করতে হবে।

আরও পডুন: ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে নিয়োগ পেলেও পাঠানো হয় বাংলায়, ব্যবস্থার নির্দেশ আদালতের

বি়জ্ঞপ্তিকে ঘিরে প্রশ্ন

এই বিজ্ঞপ্তিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁদের মতে, একাধিক রায়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বিধি উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা প্রফেসর-সমতুল পদে ১০ বছর কর্মরত থাকতেই হবে। কিন্তু ২০১২-য় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইনকে সংশোধন করে সময়সীমা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়।

প্রশ্ন রয়েছে সার্চ কমিটি নিয়েও। উপাচার্য নিয়োগে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিজ্ঞপ্তি মেনেই এই সার্চ কমিটি গড়া হয়েছে। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে বিধানসভায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংশোধনী এনে সার্চ কমিটিতে ইউজিসি-র বদলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করেন। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই একে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

তাছাড়া, সার্চ কমিটিগুলিতে এমন বেশ ক'জন উপাচার্য আছেন, যাঁদের নিয়োগ নিয়েই আদালতে মামলা চলছে। তাই কমিটিগুলির বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এত প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও কেন এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের মতে, রাজ্য-রাজ্যপাল সুসম্পর্কের আবহে তড়িঘড়ি উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে চাইছে শিক্ষা দফতর।

বন্ধ করুন