শনিবার কুণালের পর রবিবার একেবারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে পার্থবাবুর মাতৃবিয়োগ ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে সেখানে পৌঁছন রাজীববাবু। বলেন, বিপদে বন্ধুর পাশে দাঁড়াতে এসেছি।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে কার্যত কোনও সম্পর্ক নেই রাজীবের। উলটে দলের নানা পদক্ষেপের সমালোচনায় প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন তিনি। শোনা যায়, তৃণমূলে ফেরার জন্য নানা ভাবে যোগাযোগ করছেন তিনি। শনিবার বিকেলে আচমকাই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়িতে হাজির হন রাজীব। তার পরই তাঁর তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করতে থাকেন অনেকে। পরদিনই পার্থবাবুর মাতৃবিয়োগের খবর পেয়ে চলে এলেন তাঁর বাসভবনে।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বন্ধুর শোকে পাশে দাঁড়াতে এসেছি। পার্থদা সিনিয়র নেতা। আজ মাকে হারালেন উনি এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক সৌজন্য।’
যদিও বিষয়টিকে এভাবে দেখতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শনিবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীবের সাক্ষাতের পরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তৃণমূলের একাংশে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা বুঝিয়ে দিয়েছেন, শুধু কুণালকে হাত করে তৃণমূলে ফেরা হবে না রাজীবের। তাই একেবারে মহাসচিবের বাড়িতে হাজির হয়েছেন রাজীব। এবার দেখার, তাঁর এই পরিশ্রম কত দ্রুত ফল দেয়।