দিন কয়েক আগে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মোমিনপুর। সেই উত্তেজনার রেশ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে মোমিনপুর ও সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। একবালপুর লেনের একটি উঠোনে মঙ্গলবার বসেছিলেন দুই প্রৌঢ়। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এই এলাকাতেই বাস করেন। কথায় কথায় উঠে আসে সেদিনের ঘটনার কথা। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ মুসলিম মনে করিয়ে দেন বাংলার সম্প্রীতির কথা। মনে করিয়ে দেন গরিব মানুষের রুটি রুজিরের কথা।
দর্জির কাজ করেন মহম্মদ মুসলিম। তবে বর্তমানে সেই কাজে অনেকটাই ভাটা পড়েছে। সেদিনের মোমিনপুরের ঘটনার কথা বলতেই তিনি সাফ জানিয়ে দেন, শান্তি চাই। আর কিচ্ছু না। দিদির উপর আমাদের ভরসা আছে। দিদি থাকলে এসব অশান্তি হতে দেবেন না। এটা আমরা জানি। কিন্তু কারা রয়েছে এই সব অশান্তির পেছনে? তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আসলে কি জানেন থার্ড পার্টি এসে এসব অশান্তি পাকাচ্ছে। কালকেও ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেছিল। সকলে আটকে দিয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষ অশান্তি চান না। তারা নিজেদের রুটি রুজির নিয়ে ব্যস্ত। দিদি ভালোই চালাচ্ছেন রাজ্য। তবে শিক্ষাটা একটু ভালো হলে অনেকের উপকার হবে। আর সকলের যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটা দেখা দরকার।
কিন্তু থার্ড পার্টি বলতে তিনি কাদের কথা বলতে চাইছেন তা তিনি খোলসা করতে চাননি।
পাশেই বসেছিলেন মইনুদ্দিন খাঁ নামে অপর এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, মানুষ শান্তি চায়। কী হবে ঝামেলা করে? তবে শিক্ষাটা খুব দরকার। এটা সকলের বোঝা দরকার। দিদি অশান্তি হতে দেবেন না। এটা আমরা জানি। কার্যত এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি নিজেদের আস্থা প্রকাশ করলেন তাঁরা। আর বললেন সম্প্রীতির কথা। শান্তির কথা। একসঙ্গে চলার কথা।