বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ওকে টার্গেট করা হচ্ছে। গ্রেফতারির ১৪ ঘণ্টার মধ্যে দলের সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ওব্রায়েন। একই সঙ্গে নারায়ণ রানে, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারীকে নরেন্দ্র মোদী বহিষ্কার করতে পারবেন কি না চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি।
ডেরেক বলেন, শেখ শাহজাহানকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করছে তৃণমূল। কিন্তু আমি জানতে চাই নরেন্দ্র মোদী কি নারায়ণ রানে, হেমন্ত বিশ্বশর্মা বা শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবে বহিষ্কার করতে পারবেন? পারবেন না। কারণ ওটা বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস নয়। তিনি আরও বলেন, আগামী কাল বা পরশু হয়তো নরেন্দ্র মোদীর পাশে এদের কাউকে কাউকে দেখা যাবে। এদন দলের সমস্ত পদ থেকে শেখ শাহজাহানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ মিনাখাঁ থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। যদিও বৃস্পতিবার কাকভোরে তাকে দেখা যায় বসিরহাট আদালতের লক আপে। বেলা ১০টা নাগাদ শাহজাহানকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এর পর সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। শাহজাহানকে নিয়ে সোজা ভবানী ভবনে চলে আসে তারা।
শাহজাহানকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এতদিন ধরে যখন এত অভিযোগ উঠছিল তখন কেন শাহজাহানকে সাসপেন্ড করেনি তৃণমূল? এতদিন ধরে যখন মানুষ এত অভিযোগ করছিল তখন কেন শাহজাহানকে লুকিয়ে রেখেছিল তারা? আসলে গ্রেফতারির পর মুখরক্ষা করতে ও জনরোষ থেকে বাঁচতে শাহজাহানকে সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত।