রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন বিজেপির মুখোপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সোমবার বিকেলে দলের রাজ্য সদর দফতরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে বলেন, নিজেদের শ্রীবৃদ্ধির জন্য ED – CBI-এর দরকার হয় না বিজেপির।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে নার্সিংহোমে যাচ্ছেন। নার্সিংহোম কখনও ডাক্তার নেই, কখনও পরিকাঠামো নেই বলে সামান্যতম চিকিৎসা পরিষেবা মানুষকে দিচ্ছে না। জেলা হাসপাতালগুলো রেফার করার জন্য রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত হয়েছে। রোগী আসা মাত্রই তারা কাউকে NRS-এ কাউকে পিজিতে রেফার করছে। রেফার করা ছাড়া জেলা হাসপাতালের কাছে আর কোনও কাজ নেই।’ শমীকবাবুর দাবি, বীরভূমে নতুন মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্যরা দেখেন জেলা হাসপাতাল থেকে সরঞ্জাম এনে সেখানে মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতালের নামে রাজ্যে তামাশা চলছে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারকে হেয় করতে গিয়ে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পকে প্রত্যাখ্যান করে রাজ্যের মানুষকে বিপদে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যের শিক্ষার হাল নিয়েও সরব হন শমীকবাবু। তিনি বলেন, ‘সরকার বলছে, তারা তাদের কাছে যে পরিকল্পনা ছিল, তা ১০ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন। ১০ বছরে কতটা কলেজ তৈরি করেছেন? সেখানে সরকার কোন পরিকাঠামো তৈরি করেছে? ঘোষণা সর্বস্ব একটা সরকার’।
শমীকবাবু বলেন, ত্রিফলা বাতি থেকে নীল – সাদা ইউনিফর্ম, এর পিছনের রহস্য রাজ্যের মানুষ জানেন। যিনি এর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যথার্থই করেছেন।