ভারতীয় জনতা পার্টির লোকসভা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফরকে কটাক্ষ করলেন। মুম্বই সফরের সময় ইউপিএ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাম্প্রতিক মন্তব্যে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। এই আবহে মমতার নিন্দায় সরব বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন যে মমতা রাজনৈতিক কৌশল করছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা না হারায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘একটি দলকে জাতীয় দল হিসেবে থাকার জন্য সাধারণ নির্বাচনে কমপক্ষে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোর আশঙ্কা করছেন। তাই, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল তৈরি করতে তিনি মুম্বইতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সাথে দেখা করেছিলেন।’
সৌমিত্র আরও বলেন, ‘২০২২-এ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন রাজ্যে ২ শতাংশ ভোট পেতে দৌড়াচ্ছেন কারণ তৃণমূলকে একটি জাতীয় রাজনৈতিক দল থাকতে সারা ভারতে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে।’ উল্লেখ্য, ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতে, অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি দেশের সাতটি জাতীয় দল। কমিশন অনুযায়ী, একটি দলকে তখনই 'জাতীয় মর্যাদা' প্রদান করা হয় যখন তার প্রার্থীরা একটি লোকসভা নির্বাচনে একটি রাজ্যে কমপক্ষে ৬ শতাংশ অর্জন করে, বা যদি তার চারজন সংসদ সদস্য কোনও রাজ্য থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন, বা যদি এটি গত সাধারণ নির্বাচনে লোকসভার আসনের অন্তত ২ শতাংশ জেতে অথবা যদি দলটি অন্তত চারটি রাজ্যে রাজ্য দল হিসাবে স্বীকৃত হয়।
এদিকে মমতার মুম্বই সফর নিয়ে সৌমিত্র তোপ দেগে এদিন বলেন, ‘মমতা ইনশাল্লাহ বলেন এবং এখন তিনি মুম্বই গিয়ে গণপতি বাপ্পা মোর্যা জপ করছেন। অজ্ঞাত কারণে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। মমতার কাছে বাঙালি ছাড়া যে বাংলায় প্রবেশ করে সে বহিরাগত। তাহলে, এইভাবে, তিনি কি মহারাষ্ট্রের লোকেদের জন্য বহিরাগত ছিলেন না? মমতা রাজনৈতিক ছলনা করছেন।’
সৌমিত্র আরও বলেন, ‘মমতা সব সময় জয় ভারতের বদলে জয় বাংলা বলেন। তিনি আমাদের জাতীয় সঙ্গীতকেও সম্মান করেন না। তিনি জয় ভারত বলতে চান না। তিনি ভারতের অখণ্ডতা ভাঙতে চান। তিনি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। মুম্বইয়ে তিনি বলেছিলেন 'জয় বাংলা জয় মহারাষ্ট্র' কিন্তু জয় ভারত নয়। ইনশাআল্লাহ বলে তিনি পশ্চিম বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে চান।’