গত শুক্রবার রাতে রিপন স্ট্রিট থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ভকত বংশী ঝা নামে ৩৬ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল। সে আদপে বিহারের দ্বারভাঙার যুবক। আর তাকে জেরা করে বিস্ফোরক তথ্য এসটিএফের হাতে। আসলে সে পাক গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের(আইএসআই) এজেন্ট হিসাবে কাজ করত। কিন্তু কীভাবে সেই এই ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত হল?
বর্তমান সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে তার সঙ্গে এক তরুণীর পরিচয় হয়েছিল। আরুশি শর্মা নামে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এরপর সেই পাক সুন্দরী কার্যত ফাঁদ পেতেছিল বলে অভিযোগ। নানা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে প্রাথমিকভাবে যুবকের মন জয় করা হয়েছিল।
এরপর বলা হয়েছিল তার বোন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিটের সাংবাদিক। ভারতের বিশেষত দিল্লির সংরক্ষিত এলাকার কিছু ছবি তার লাগবে। এরপরই শুরু হয় ছবি পাঠানোর কাজ। একটি বিশেষ অ্য়াপের মাধ্যমে ছবি পাঠানোর কথা বলা হয়। সেই অ্যাপ ব্যবহার করলে ছবির লোকেশন ও ম্যাপও মিলবে।
তবে শুধু দিল্লি নয়, কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবিও পাঠানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হাওড়া ও বিদ্যাসাগর সেতুর ছবিও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সব মিলিয়ে অত্যন্ত সুকৌশলে ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ের খোঁজ নিচছিল আইএসআই। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে সুন্দরীদের সামনে রেখে হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে কাজ হাসিল করার চেষ্টা করছে আইএসআই।
সেই ফাঁদে পা দিলেই ধীরে ধীরে তাকে বশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরকম আর কারা পাক এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। বাংলা তথা ভারতের আর কোথায় আইএসআই তাদের জাল ছড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কেন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তারা সংগ্রহ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।