নির্বাচনী বন্ড নিয়ে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল এমন একটি সংস্থা যার কোনও ওয়েবসাইট নেই। ওয়াটারলু স্ট্রিটে সংস্থার নিবন্ধিত অফিস। ওই ঠিকানায় কয়েকশ অফিস। এভি ট্রেডিং এন্ড ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে কলকাতা সেই সংস্থাটি ১১২.৫ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছে।
এর মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। তৃণমূল পেয়েছে ৪৫.৫ কোটি টাকা। এছাড়া বিজেপি পেয়েছে ১ কোটি টাকা। আপ পেয়েছ ১০ কোটি টাকা এবং বিজেডি পেয়েছে ৩ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯-২০ সালে ৫১.৭ কোটি ক্ষতি হয় সংস্থাটির। তা সত্ত্বেও ২০২২-২৩ সালে ২৪ কোটি টাকার বন্ড কেনে এভি। সংস্থাটি সেই সময় ধারাবাহিক ভাবে ক্ষতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তবু তারা ১৩ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনে। সংস্থাটি সেই সময় ২৯.১ কোটি টাকা ক্ষতি মুখে ছিল।
আরও পড়ুন। কার থেকে কত টাকা পেল দলগুলি? সামনে তথ্য, অনুদানে তৃতীয় রিলায়েন্সের যোগ থাকা কুইক
এভি-র তিনজন ডিরেক্টর ছিল। তাঁদের নাম যথাক্রমে, ভাল চন্দ্র খৈতান , রমেশ কুমার সারোগি এবং মহেশ কুমার ধনুকা । ধানুকা আবার একাধিক স্টিল কোম্পানির সঙ্গে জড়িত ছিল। সারোগি আবার কলকাতার একটি বাণিজ্যিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার এসবিআই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, লটারি কিং স্যান্তিয়াগো মার্টিন সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছে তৃণমূলকে। মার্টিনের সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’ অন্তত ৫৪০ কোটি টাকা দিয়েছে তৃণমূলকে। তারা মোট বন্ড কিনেছে ১,৩৬৮ কোটি টাকার। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ জোড়াফুলকে দিয়েছে মার্টিনের সংস্থা।
আরও পড়ুন। নির্বাচনী বন্ডের অনুদান নিয়ে গোপনে তথ্য দিয়েছিল দলগুলি, প্রকাশ করে দিল কমিশন
দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেই কিছু না কিছু অনুদান দিয়েছেন লটারি কিং। এর মধ্যে তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে পেয়েছে ৫০৯ কোটি টাকা। এছাড়া নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ওয়াই এস আর কংগ্রেসকে ১৬০ কোটি টাকা, বিজেপিকে ১০০ কোটি টাকা এবং কংগ্রেসকে ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে স্যান্তিয়াগো মার্টিন।
পড়়ুন। 'সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে', নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কমিশনকে 'সব' তথ্য SBI-র