নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কার থেকে কত টাকা অনুদান পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি, এবার সেই তথ্য সামনে এল। বৃহস্পতিবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) থেকে যে তথ্য পেয়েছে নির্বাচন কমিশন, তা প্রকাশ করার পরেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে সরাসরি সেটা বোঝা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো যে ইউনিক নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে, সেটা মিলিয়ে বোঝা যাবে যে কোন সংস্থার নির্বাচনী বন্ড ভাঙিয়েছে কোনও রাজনৈতিক দল। অর্থাৎ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন দল কত টাকা পেয়েছে, সেটার তথ্য পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এসবিআই নির্বাচনী বন্ড প্রদানকারী সংস্থা, বন্ড কেনা, বন্ডের তারিখ, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক দলগুলি কোন কোন বন্ড ভাঙিয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু কোন অনুদান প্রদানকারী ও রাজনৈতিক দলের তথ্য মেলানোর জন্য যে কোডের প্রয়োজন ছিল, সেটা প্রকাশিত হয়নি। বৃহস্পতিবার কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যে তথ্য আপলোড করা হয়েছে, তা থেকে সেই বিষয়টি এবার বোঝা যাবে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, কমিশনের তরফে যে তথ্য আপলোড করা হয়েছে, তাতে বিজেপিকে ৩৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড। যে সংস্থার নথিভুক্ত ঠিকানা হল নবি মুম্বইয়ের ধীরুভাই আম্বানি নলেজ সিটি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে ওই সংস্থার যোগ আছে। ওই সংস্থাই ২০২১-২২ সাল থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে ৪১০ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল। ২৫ কোটি টাকা দিয়েছিল শিবসেনা। আর কোনও রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেয়নি ওই সংস্থা।
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্বিকভাবে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে সবথেকে বেশি টাকা অনুদান দিয়েছে যে সংস্থাগুলি, সেটার তালিকায় তিন নম্বরে আছে কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড। শীর্ষে আছে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। ১,৩৬৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল। আর দুইয়ে আছে মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনফ্রা। যে সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৯৬৬ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রীকে কেন গ্রেফতার করল ইডি? তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী?
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে যখন কুইক সাপ্লাইয়ের সঙ্গে রিলায়েন্সের যোগের বিষয়টি সামনে এসেছিল, তখন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুখপাত্র বলেছিলেন, 'রিলায়েন্সের কোনও সংস্থার অনুসারী নয় কুইক সাপ্লাই চেন প্রাইভেট লিমিটেড।' যদিও ওই সংস্থার যোগের বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মুখপাত্র।